-
চলচ্চিত্র: চিন্তাবীজ
এ বইয়ে রয়েছে ‘নোটস অন সিনেমাটোগ্রাফি’-র সম্পূর্ণ অনুবাদ। ‘নোটস অন সিনেমাটোগ্রাফি’ ফরাসি চলচ্চিত্রকার রবের ব্রেঁস-র লেখা একমাত্র বই। দীর্ঘদিন ধরে ছোট-ছোট সূত্রের আকারে, বা আমরা যেমন বলেছি, প্রায় বীজের আকারে চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর ভাবনা এখানে নথিবদ্ধ করেছিলেন ব্রেঁস।
-
চলচ্চিত্রের রূপ-অরূপ
এই বইটিতে চারটি অধ্যায় ভাগ আছে এবং সব মিলে চৌদ্দটি লেখা আছে। কিন্তু একটি ভাবনা যেন আছে পুরো বইটি জুড়েই। সেটি হচ্ছে এই সময়ে, একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে চলমান ছবির আধিপত্য নিয়ে।
-
চেরির স্বাদ
৪ জুলাই ২০১৬-তে না ফেরার দেশে চলে গেছেন মহান ইরানি চিত্ররূপকার আব্বাস কিয়ারোস্তামি। অসংখ্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-সম্মানে সিক্ত এই নির্মাতা- তাঁর নিজেকে নিয়ে; তাঁর ছবি ও কবিতা নিয়ে; তাঁর হয়ে ওঠার সময় ও সমাজকে নিয়ে কথা বলেছেন নানা জনের সাথে নানা সময়ে নানা স্থানে। সে-কথামালা একত্রিত করে, তাঁরই ছবি ও কবিতায় গেঁথে দিয়েছেন গুণী ভাষাকারিগর সন্দীপন ভট্টাচার্য। ‘চেরীর স্বাদ’ গ্রন্থটি এক বর্ণিল, রূপবান কিয়ারোস্তামিকে একেবারে ভিতর থেকে জানার-বোঝার সুযোগ করে দেবে আমাদের।
-
ডিজিটাল ইমেজ রাজনীতি, নন্দনতত্ত্ব ও অন্যান্য
প্রযুক্তি কি প্রভাবিত করে নন্দনতত্ত্বকে? শিল্পের ভাষা এবং তার রাজনীতি কি বিবর্তিত হয় প্রযুক্তির প্রভাবে? ইমেজের ডিজিটাল রূপান্তর কি প্রযুক্তির পালা বদল না কি প্যারাডাইম শিফট? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এই বইয়ের সূচিপত্র গড়ে উঠেছে। ডিজিটাল ইমেজের প্রযুক্তি, নন্দনতাত্ত্বিক বাস্তবতা ও সম্ভাবনা, তার অ্যানার্কি এই গ্রন্থের আগ্রহের বিষয়।
-
তিনা মোদোত্তি শিল্প . রাজনীতি . জীবন
এই গ্রন্থটিতে তিনা মোদোত্তির বর্ণময় জীবন ও জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা বা প্রভাবসঞ্চারক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ইত্যাদি কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপরই আলোকপাত করা হয়নি সচেতনভাবে। বরং নির্মোহ জায়গা থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে, বিস্মৃত একটি জীবনের দিকে ফিরে তাকালে যেভাবে দেখা হয়।
-
দুই শিল্পীর চিঠি: পারস্পরিক-পারম্পরিক
উনিশ শতকের post-impressionist যুগের দুই দিকপাল শিল্পী ভিনসেন্ট ভান গখ ও পল গগ্যাঁ। ১৮৮৭ সালের শেষদিকে প্যারিসে দুজনের প্রথম দেখা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় দুজনের পত্রালাপ। ক্রমে পরস্পরের সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্বে রূপ নেয়। পরবর্তী সময়ে মহান শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও জীবদ্দশায় দুজনের কেউই স্বীকৃতি পাননি। গগ্যাঁকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পীদের জন্য একটি commune গড়ে তুলতে ভিনসেন্ট খুবই উদগ্রীব ছিলেন। প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে সম্পর্ক গড়ে ওঠা, কিছুটা টানাপোড়েন এবং তা সত্ত্বেও দুজনের ভেতর এক অবিচ্ছেদ্য টান – চিঠিগুলো থেকে এমন এক গল্পের আভাস পাওয়া যায়। দুজনের বন্ধুত্ব যেন পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে। এই সংকলনটির পাঠ পাঠকের আগ্রহ নিবৃত্ত করে না বরং এই দুই শিল্পীর জীবন সম্পর্কে আরো জানতে পাঠককে উৎসুক করে তোলে।
-
দেখার যত উপায়
সরলভাবে এ হলো ‘দেখা’র সন্দর্ভ। অতীতে শিল্পকর্মকে কীভাবে দেখা হতো, বর্তমানে পুনরুৎপাদনের যুগে এসে তা কেমন দাঁড়িয়েছে, যান্ত্রিক পুনরুৎপাদন আমাদের দেখার পথকে কীভাবে পালটে দিচ্ছে, আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে, ইউরোপীয় চিত্রকলায় নারী কীভাবে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণে উপস্থাপিত, তৈলচিত্রের অঙ্কনের ধারায় কেমন করে বস্তুগত মালিকানার বোধ চরিতার্থ হয় এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ইমেজ ব্যবহারের কৌশলে যেমন করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিহিত থাকে সেই দেখার দুয়ারগুলোই এই ডিসকোর্সের বিষয়।।
-
পুণ্যাহ
আর দশটি সাধারণ নারীর জীবনের মতোই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফারজানার জীবনের গল্প আবর্তিত হতে থাকে। অপ্রত্যাশিত বিপত্তি, অভাবিত মোড়, ধারণাবহির্ভূত অভিজ্ঞতা একের পর এক কড়া নাড়ছিল ফারজানার জীবন দুয়ারে। জীবনের এক পর্যায়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে বন্ধুত্বের সংস্পর্শে। শুধু কি বন্ধুত্ব? নাকি বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু? এখানে সংসারের অভ্যস্ততার খসড়া যেন চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সে মোড় নেয়।
আপাত দৃষ্টিতে উপন্যাসের বিচ্ছিন্ন প্রত্যেকটি চরিত্র কীভাবে যেন মাকড়সার জালের মতো জড়িয়ে যায় পরস্পরের সাথে। এই চরিত্রগুলোর পরিণতি কী হবে? প্রাচী, মাহফুজ, ফারজানা, জোসেফ, শমিতা সবার জীবনে কি আসবে পুণ্যাহ?”
-
প্রামাণ্যচিত্রকথা
প্রামাণ্যচিত্রের সত্য-যাত্রা, তার ইতিহাসের অ্যাডভেঞ্চার প্রযুক্তি বেয়ে তার সম্ভাবনার অসীম স্থিতিস্থাপকতা- এভাবে প্রামাণ্যচিত্রকথার শুরু। বিকল্প প্রকল্পে অথবা জাতীয় চলচ্চিত্রের ল্যান্ডস্কেপে প্রামাণ্যচিত্রের নির্ধারক ভূমিকা আর তারই স্বভাব-চলনে একালের বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র। এইসব তার কথা-প্রমাণ্যচিত্রকথা।
-
প্রেম ও হত্যা
‘প্রেম’ ও ‘হত্যা’ নিয়ে এই দুটি ছোট ছবি আদতে খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কি পরিচালিত পোলিশ টেলিভিশনের জন্য তৈরি দশটি ছবির সিরিজ ‘ডেকালগ’-এর অন্তর্গত। তার মধ্যে এ দুটি ছবি (ডেকালগ ৫ ও ৬) একই সঙ্গে সামান্য পরিবর্তন সাপেক্ষে ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট লাভ’ এবং ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট কিলিং’ নামে স্বতন্ত্র দুটি কাহিনিচিত্র হিসেবেও নির্মিত হয়। এখানে প্রকাশিত দুটি চিত্রনাট্যই ঐ কাহিনিচিত্রের।
এই সংকলনে আরও আছে ‘ডেকালগ’ নিয়ে পরিচালকের দুটি সাক্ষাৎকার এবং আলাদা করে এ দুটি ছবি নিয়ে তাঁর বক্তব্য।
-
বাংলা পোস্টার : দুই বাংলার লেখা ও ছবি
পোস্টারকে শিল্পকলার ইতিহাস সেভাবে জায়গা দেয়নি, দেয় না। তাই ‘দলিত’ পোস্টারকে ‘ব্রাহ্মণত্ববাদী প্রতিষ্ঠানিকতা’র বাইরে জায়গা খুঁজে নিতে হয়। রাজ-নীতিক আন্দোলনে, প্রতিবাদে, মিছিলে, ঘোষণায়, যাত্রায়, সার্কাসে, জলশায়, ছোট অনুষ্ঠানের প্রচারে, ছোট সংস্থার শিল্পনির্মাণে, এমন-এমন সব বিষয়ে। তাই বাংলা পোস্টার নিয়ে বাংলায় বই লেখা হয় না, হয়নি, প্রবন্ধ হাতে-গোনা।
পোস্টার এক যৌথ শিল্প। অংকনশিল্পী, অক্ষরশিল্পী, বিন্যাসশিল্পী, মুদ্রণশিল্পী— এঁদের সমবেত সৃষ্টি। মুদ্রণশিল্পের ইতিহাসের সাথে পোস্টারশিল্পের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। পোস্টার-শিল্পের ইতিহাস পড়লে মুদ্রণশিল্পের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। একই ভাবে সময়কাল সাজিয়ে রাজনৈতিক পোস্টার পড়লে রাজনীতির ইতিহাস পড়া হয়ে যায়। এ ভাবেই কোন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস চর্চার অন্যতম উপাদান সাংস্কৃতিক পোস্টার, সামাজিক বিষয়ের পোস্টার। এ ভাবেই চলে আসে পোস্টার থেকে পড়ে নেওয়া ছবির ইতিহাস, দেখানো ছবির ইতিহাস, বাক্যের ইতিহাস, লেখা কথা শব্দ শ্লোগানের ইতিহাস। -
বীরাঙ্গনা: যুদ্ধকালীন ধষর্ণের নীতিসম্মত সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পারিবারিক স্মৃতি নিয়ে লাবণ্যকে একটা স্কুলের প্রজেক্ট করতে হবে। সে তার নানুর কাছে এই নিয়ে কথা বলতে আসে দুপুর বেলা। ও নানুর দুঃস্বপ্নের ঘুম ভাঙ্গায়। নানু যুদ্ধের এই দুঃস্বপ্ন বার বার দেখেন। ঘুম ভেঙ্গে নানু তাকে বীরাঙ্গনাদের ইতিহাস জানান। একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানের সৈন্যরা ও স্থানীয় রাজাকাররা যেসব মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়, অত্যাচার করে, ধর্ষণ করে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ বলে সম্মান জানায়। লাবণ্যের মা হেনা তাকে কথ্য ইতিহাসের অভিজ্ঞতা জানান, যার মাধ্যমে তাঁরা বীরাঙ্গনাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই সাথে কথ্য ইতিহাসের নানাবিধ নৈতিক টানাপড়েনের এবং যে ভুলগুলো তিনি করেছেন তার কথা বলেন। হেনার মনে হয়: যুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, যা তাদের নানা ভুল-ত্রুটি, দৃঢ় নৈতিক অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দেবে। কিন্তু এই নীতিমালার কথোপকথনের মধ্যে লুকিয়ে আছে লাবণ্যের পারিবারিক ইতিহাস ও গোপনীয় বিষয়। কী সেই গোপন থাকা কথা? এই কাহিনী আবিষ্কার করে লাবণ্যের কী অনুভূতি হয়? সে ভবিষ্যতে এই পারিবারিক ও দেশের ইতিহাসকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
-
মুক্ত বাতায়ন স্মরণিকা জাদুঘর ‘স্মারক দুর্ঘটনা’
শিল্পী ঢালী আল মামুন একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্নকে সর্বজনীন শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সর্বজনীন শিল্প কী? সর্বজনীন ধারণাটি কি সর্বজনীন, নাকি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ভাবনার মধ্যে আবর্তিত হয়? সর্বজনীন কিছু হওয়া কি সম্ভব? এই সকল প্রশ্নকে উসকে দেওয়ার চেষ্টায় এই প্রকাশনা। একই সঙ্গে এই প্রকাশনা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভাস্কর্য চর্চার ধরনটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায় শিল্পী ঢালী আল মামুনকেও, যিনি দৃশ্যশিল্পকে দেখেন জ্ঞানকাণ্ডের অংশ হিসেবে।
-
মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস
৭০-এর দশকে হার্ভার্ডের এডুকেশনাল রিভিউয়ের জন্য লিখিত পাউলো ফ্রেইরির দুইটি নিবন্ধ নিয়ে পরবর্তী কালে কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম বইটি প্রকাশিত হয়। যা ‘পেডাগজি অব দ্য অপ্রেসড’ বইয়েরই এক প্রকার ধারাবাহিকতা। শিক্ষাচিন্তা, অধ্যয়নের দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি’র বোঝাবুঝি এই বইয়ের মূল উপাদান। এই বই আমাদের বিশ্লেষণী চেতনায়নের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে মুক্তি অর্জনের পথ করে নেওয়া শেখায়।
-
মেয়েদের হার মেয়েদের জিত
মেয়েদের কামশীতলতা নিয়ে যে-সব তথ্য আমি দিয়েছি, অধিকাংশ পুরুষই তাকে ব্যক্তিগত অপমান বলে ধরে নেয়, তারা বিশ্বাস করতে চায় যে যখন ইচ্ছে এবং যাকে ইচ্ছে তারা আনন্দ দিতে পারে, এ ক্ষমতায় সন্দেহ করা তাদের দিক থেকে প্রায় পৌরুষহানির সমান।
-
যে-ব্যথা আনজনের
যুদ্ধের ছবি আসলে কী কাজ করে? যুদ্ধের নিবারণ কি আদৌ সম্ভব? অন্যের দুর্দশার ছবি দেখতে দেখতে কি অসাড় হয়ে যাই আমরা? না কি অভ্যস্ত হয়ে পড়ি?
-
রবীন্দ্রনাথের গান: গানের তথ্য গানের সত্য
রবীন্দ্রনাথের গানের সূত্রে রচিত এই গ্রন্থটি বস্তুত শিল্পসৃষ্টির রহস্য অনুধাবনের একটা প্রয়াস মাত্র। আর তার পাশাপাশি শিল্প-আস্বাদনের সময় শিল্পসৃষ্টির কালে, শিল্পীর চেতনায় যে-অভিঘাতটি কাজ করে বা যে-প্রত্যক্ষ ঘটনা বা তথ্য একজন শিল্পীকে শিল্প নির্মাণের দিকে উসকে দেয়— সেই তথ্যকে জড়িয়ে নেওয়াটা শিল্প-আস্বাদনে কতটুকু জরুরি, তারও একটা বিবেচনা রয়েছে এখানে। আর এ কাজ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের তথ্যানুসন্ধান এবং তথ্যকে আস্বাদনকালে সম্পৃক্ত করবার বিষয়টি বেছে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এই অনুসন্ধান এবং অনুসন্ধান-পরবর্তী সিদ্ধান্তটি অপরাপর শিল্পের ক্ষেত্রেও বোধের অভিন্নতা তৈরি করবে। নির্বাচিত একশোটি গান নিয়ে এই অনুসন্ধান।
-
লোকশিল্পদর্শন
বস্তুত শিল্পের মর্ম থাকে তার অস্তিত্বে,
তার রঙরূপলাবণ্যে, তার বস্তুত্বে। না-দেখে, না ছুঁয়ে, না জড়িয়ে
বা সংক্ষেপে ভালোবেসে তার সঙ্গে ঘর না-করে
তাকে পাওয়ার উপায় নেই।এ সংকলনে লোকশিল্পের একদল আদত শিল্পপ্রেমিকের
ঐ ঘর করার অভিজ্ঞতাই আছে- তার মর্ম আছে, দর্শন আছে। -
শিল্প কাহিনি
অনতিতরুণ পাঠকদের উদ্দেশ্য করে এর্নস্ট হান্স গমব্রিখ ‘স্টোরি অফ আর্ট’ গ্রন্থটি রচনা করেন; পুরাকালের গুহাচিত্র থেকে বর্তমান পর্যন্ত এই কাহিনির পরিসর বিস্তৃত। শিল্পের শৈলীর বিকাশকে ঘিরে গমব্রিখের ‘শিল্প কাহিনি’ গ্রন্থটি আবর্তিত হয়েছে ।
-
শিল্পতত্ত্বের গোড়ার পাঠ
প্লেটো-পরবর্তী অনেক দার্শনিকই শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক তত্ত্ব হাজির করেছেন। এখানে তাঁদের কয়েকজনকে বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যযুগীয় মহীরুহ টমাস আকুইনাস, এনলাইটেনমেন্টের মুখ্য ব্যক্তিত্ব ডেভিড হিউম ও ইমানুয়েল কান্ট, কুখ্যাত প্রথাবিরোধী ফ্রিডরিখ নিটশে এবং বিশ শতকের জন ডিউই, আর্থার ডান্টো, মিশেল ফুকো এবং জাঁ বদ্রিয়ার। সমাজবিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্প-ইতিহাস ও সমালোচনা, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং অন্যান্য শাখার তাত্ত্বিক, যাঁরা শিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাঁদের কথাও এখানে বলা হয়েছে।
-
মুক্ত বাতায়ন স্মরণিকা জাদুঘর ‘স্মারক দুর্ঘটনা’
শিল্পী ঢালী আল মামুন একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্নকে সর্বজনীন শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সর্বজনীন শিল্প কী? সর্বজনীন ধারণাটি কি সর্বজনীন, নাকি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ভাবনার মধ্যে আবর্তিত হয়? সর্বজনীন কিছু হওয়া কি সম্ভব? এই সকল প্রশ্নকে উসকে দেওয়ার চেষ্টায় এই প্রকাশনা। একই সঙ্গে এই প্রকাশনা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভাস্কর্য চর্চার ধরনটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায় শিল্পী ঢালী আল মামুনকেও, যিনি দৃশ্যশিল্পকে দেখেন জ্ঞানকাণ্ডের অংশ হিসেবে।