-
আয়না প্রথম অংশ
নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এটি বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই রীতিমতো গবেষণামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়। গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে; বদলে, তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে। এর প্রতিটি গল্পকে মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন; যদি চান, সেখানেই লেখকের সার্থকতা।
-
আলিঙ্গনের বই
‘আলিঙ্গনের বই’তে এদুয়ার্দো গালেয়ানো গল্প থেকে গল্পে লাফিয়ে যান পাহাড়ি ঝোরার উপর আলগা পাথরে পা ফেলে ফেলে, পাঠককে বারবার এক স্বপ্ন থেকে ঝাঁকিয়ে তুলে আরেক স্বপ্নের আবর্তে ঠেলে দিয়ে। এই বই পড়া মানে স্বপ্নের পুঁটুলি বানানো শুরু। লেখকের স্বপ্ন, পাঠকের স্বপ্ন, স্বপ্নের সময়, বাস্তবের সময় ঘেঁটেঘুটে এক হয়ে যেতে থাকে। নাজেহাল পাঠক যদি পারতেন গালেয়ানোকে ফোন করতেন- “আপনার স্বপ্নগুলো নিয়ে করবটা কী বলুন তো?” আর গালেয়ানো হয়তো তখন জানাতেন যে, মৃত অবস্থাটা আসলে খুবই একঘেয়ে, এবং জীবন-মৃত্যু নিয়ে একটা নতুন বই লিখতে তিনি উৎসুক।
-
ক-বাবুর যত কথা
ক-বাবুর এই সমস্ত ‘কথা’ কখনও দু-এক লাইন, কখনও দু-এক অনুচ্ছেদেই শেষ। বের্টোল্ট ব্রেখট ক-বাবুর এই সমস্ত ‘কথা’ লিখেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে, গত শতকের বিশ থেকে পাঁচের দশক জুড়ে, বিপ্লব ও বিশ্বযুদ্ধের উত্তাল আবহে।
-
কবিতার কারখানা
কবিতা কিংবা যেকোনো সাহিত্যকর্ম তাঁর কাছে বিশুদ্ধ শিল্প। তাই তিনি মনে করেন “প্রতিবার কবিতা পড়ার সময় শিল্প সৃষ্টি হয়”। শব্দ বুনে নিখাদ শিল্পসৃষ্টির সম্ভাবনাই তাঁর জীবনের কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে ওঠে। তিনি আর্হেন্তিনীয় কবি ও সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেস। বিশ্বসাহিত্যে যিনি এক কিংবদন্তি-তুল্য চরিত্র।
-
চেরির স্বাদ
৪ জুলাই ২০১৬-তে না ফেরার দেশে চলে গেছেন মহান ইরানি চিত্ররূপকার আব্বাস কিয়ারোস্তামি। অসংখ্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-সম্মানে সিক্ত এই নির্মাতা- তাঁর নিজেকে নিয়ে; তাঁর ছবি ও কবিতা নিয়ে; তাঁর হয়ে ওঠার সময় ও সমাজকে নিয়ে কথা বলেছেন নানা জনের সাথে নানা সময়ে নানা স্থানে। সে-কথামালা একত্রিত করে, তাঁরই ছবি ও কবিতায় গেঁথে দিয়েছেন গুণী ভাষাকারিগর সন্দীপন ভট্টাচার্য। ‘চেরীর স্বাদ’ গ্রন্থটি এক বর্ণিল, রূপবান কিয়ারোস্তামিকে একেবারে ভিতর থেকে জানার-বোঝার সুযোগ করে দেবে আমাদের।
-
পুণ্যাহ
আর দশটি সাধারণ নারীর জীবনের মতোই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ফারজানার জীবনের গল্প আবর্তিত হতে থাকে। অপ্রত্যাশিত বিপত্তি, অভাবিত মোড়, ধারণাবহির্ভূত অভিজ্ঞতা একের পর এক কড়া নাড়ছিল ফারজানার জীবন দুয়ারে। জীবনের এক পর্যায়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে বন্ধুত্বের সংস্পর্শে। শুধু কি বন্ধুত্ব? নাকি বন্ধুত্বের থেকেও বেশি কিছু? এখানে সংসারের অভ্যস্ততার খসড়া যেন চূড়ান্ত ক্লাইমেক্সে মোড় নেয়।
আপাত দৃষ্টিতে উপন্যাসের বিচ্ছিন্ন প্রত্যেকটি চরিত্র কীভাবে যেন মাকড়সার জালের মতো জড়িয়ে যায় পরস্পরের সাথে। এই চরিত্রগুলোর পরিণতি কী হবে? প্রাচী, মাহফুজ, ফারজানা, জোসেফ, শমিতা সবার জীবনে কি আসবে পুণ্যাহ?”