-
বীরাঙ্গনা: যুদ্ধকালীন ধষর্ণের নীতিসম্মত সাক্ষ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পারিবারিক স্মৃতি নিয়ে লাবণ্যকে একটা স্কুলের প্রজেক্ট করতে হবে। সে তার নানুর কাছে এই নিয়ে কথা বলতে আসে দুপুর বেলা। ও নানুর দুঃস্বপ্নের ঘুম ভাঙ্গায়। নানু যুদ্ধের এই দুঃস্বপ্ন বার বার দেখেন। ঘুম ভেঙ্গে নানু তাকে বীরাঙ্গনাদের ইতিহাস জানান। একাত্তরের যুদ্ধে পাকিস্তানের সৈন্যরা ও স্থানীয় রাজাকাররা যেসব মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়, অত্যাচার করে, ধর্ষণ করে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁদের ‘বীরাঙ্গনা’ বলে সম্মান জানায়। লাবণ্যের মা হেনা তাকে কথ্য ইতিহাসের অভিজ্ঞতা জানান, যার মাধ্যমে তাঁরা বীরাঙ্গনাদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই সাথে কথ্য ইতিহাসের নানাবিধ নৈতিক টানাপড়েনের এবং যে ভুলগুলো তিনি করেছেন তার কথা বলেন। হেনার মনে হয়: যুদ্ধে ধর্ষণের শিকার নারীদের সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, যা তাদের নানা ভুল-ত্রুটি, দৃঢ় নৈতিক অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দেবে। কিন্তু এই নীতিমালার কথোপকথনের মধ্যে লুকিয়ে আছে লাবণ্যের পারিবারিক ইতিহাস ও গোপনীয় বিষয়। কী সেই গোপন থাকা কথা? এই কাহিনী আবিষ্কার করে লাবণ্যের কী অনুভূতি হয়? সে ভবিষ্যতে এই পারিবারিক ও দেশের ইতিহাসকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
-
মুক্ত বাতায়ন স্মরণিকা জাদুঘর ‘স্মারক দুর্ঘটনা’
শিল্পী ঢালী আল মামুন একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্নকে সর্বজনীন শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সর্বজনীন শিল্প কী? সর্বজনীন ধারণাটি কি সর্বজনীন, নাকি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ভাবনার মধ্যে আবর্তিত হয়? সর্বজনীন কিছু হওয়া কি সম্ভব? এই সকল প্রশ্নকে উসকে দেওয়ার চেষ্টায় এই প্রকাশনা। একই সঙ্গে এই প্রকাশনা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভাস্কর্য চর্চার ধরনটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায় শিল্পী ঢালী আল মামুনকেও, যিনি দৃশ্যশিল্পকে দেখেন জ্ঞানকাণ্ডের অংশ হিসেবে।
-
মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস
৭০-এর দশকে হার্ভার্ডের এডুকেশনাল রিভিউয়ের জন্য লিখিত পাউলো ফ্রেইরির দুইটি নিবন্ধ নিয়ে পরবর্তী কালে কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম বইটি প্রকাশিত হয়। যা ‘পেডাগজি অব দ্য অপ্রেসড’ বইয়েরই এক প্রকার ধারাবাহিকতা। শিক্ষাচিন্তা, অধ্যয়নের দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি’র বোঝাবুঝি এই বইয়ের মূল উপাদান। এই বই আমাদের বিশ্লেষণী চেতনায়নের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে মুক্তি অর্জনের পথ করে নেওয়া শেখায়।
-
মেয়েদের হার মেয়েদের জিত
মেয়েদের কামশীতলতা নিয়ে যে-সব তথ্য আমি দিয়েছি, অধিকাংশ পুরুষই তাকে ব্যক্তিগত অপমান বলে ধরে নেয়, তারা বিশ্বাস করতে চায় যে যখন ইচ্ছে এবং যাকে ইচ্ছে তারা আনন্দ দিতে পারে, এ ক্ষমতায় সন্দেহ করা তাদের দিক থেকে প্রায় পৌরুষহানির সমান।
-
যে-ব্যথা আনজনের
যুদ্ধের ছবি আসলে কী কাজ করে? যুদ্ধের নিবারণ কি আদৌ সম্ভব? অন্যের দুর্দশার ছবি দেখতে দেখতে কি অসাড় হয়ে যাই আমরা? না কি অভ্যস্ত হয়ে পড়ি?
-
রবীন্দ্রনাথের গান: গানের তথ্য গানের সত্য
রবীন্দ্রনাথের গানের সূত্রে রচিত এই গ্রন্থটি বস্তুত শিল্পসৃষ্টির রহস্য অনুধাবনের একটা প্রয়াস মাত্র। আর তার পাশাপাশি শিল্প-আস্বাদনের সময় শিল্পসৃষ্টির কালে, শিল্পীর চেতনায় যে-অভিঘাতটি কাজ করে বা যে-প্রত্যক্ষ ঘটনা বা তথ্য একজন শিল্পীকে শিল্প নির্মাণের দিকে উসকে দেয়— সেই তথ্যকে জড়িয়ে নেওয়াটা শিল্প-আস্বাদনে কতটুকু জরুরি, তারও একটা বিবেচনা রয়েছে এখানে। আর এ কাজ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের তথ্যানুসন্ধান এবং তথ্যকে আস্বাদনকালে সম্পৃক্ত করবার বিষয়টি বেছে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এই অনুসন্ধান এবং অনুসন্ধান-পরবর্তী সিদ্ধান্তটি অপরাপর শিল্পের ক্ষেত্রেও বোধের অভিন্নতা তৈরি করবে। নির্বাচিত একশোটি গান নিয়ে এই অনুসন্ধান।
-
সভ্যতার সংকট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
সত্যজিৎ রায়ের গল্প আর সংলাপের নুয়ান্স, সূক্ষ্ম ডিটেইলের কাজ, তাঁর ভারসাম্যময় কম্পোজিশন, সংযমী সম্পাদনা নিয়ে প্রচলিত মুগ্ধ উচ্চারণের বাইরে এই চলচ্চিত্রপঞ্জি। এটা নিয়ে কি আর কোনো পঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করা যায়? পুঁজিবাদী বিচ্ছিন্নতা, আরবান গেরিলাযুদ্ধ, বিশ শতকের নতুন তরুণের লিবিডো অথবা নাগরিকদের নৈতিকতার সংকট নিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায় কি? এসব খতিয়ে দেখতে দেখতে প্রায় তিরিশ বছর ধরে এই গ্রন্থের নির্মাণ। চেষ্টা করা গেছে সত্যজিৎ রায়ের ধ্রুপদী ঐশ্বর্য এবং কালাতিক্রমী প্রাসঙ্গিকতার এক কম্পোজিট পাঠ উপস্থাপনের।
-
স্বপ্ন বিপ্লব ও শ্রেণিসুবিধা
বিংশ শতাব্দীর তরুণ সব প্রজন্মকে নির্মাণ করেছে রুশ বিপ্লব—এ কথা বললে খুব কমই বলা হবে। কেননা পৃথিবীতে এটিই এমন কোনো বিপ্লব যা হাজার বছরের কালপ্রবাহে মানব সমাজের অচলায়তনকে প্রথম কাঁপিয়ে তোলে।
এতে সংশয় নেই যে, রুশ বিপ্লব দ্বিতীয়বার হবে না; কিন্তু এ-ও সত্য যে, মানুষের সাম্য ও সমতার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার কারণেই আরও নির্ভুল প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতেও সমতার গান বেজে উঠবে এবং নতুন কোনো বিপ্লব নিশ্চয়ই ঘটবে।
-
মুক্ত বাতায়ন স্মরণিকা জাদুঘর ‘স্মারক দুর্ঘটনা’
শিল্পী ঢালী আল মামুন একটি ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্নকে সর্বজনীন শিল্পে রূপান্তরিত করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে সর্বজনীন শিল্প কী? সর্বজনীন ধারণাটি কি সর্বজনীন, নাকি একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ভাবনার মধ্যে আবর্তিত হয়? সর্বজনীন কিছু হওয়া কি সম্ভব? এই সকল প্রশ্নকে উসকে দেওয়ার চেষ্টায় এই প্রকাশনা। একই সঙ্গে এই প্রকাশনা বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের ভাস্কর্য চর্চার ধরনটিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে, প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায় শিল্পী ঢালী আল মামুনকেও, যিনি দৃশ্যশিল্পকে দেখেন জ্ঞানকাণ্ডের অংশ হিসেবে।