গালেয়ানো বলেছেন, “আমার বইগুলো, বিশেষ করে ‘মিররস’ লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে, বিশ্বের কোনো জায়গাই অন্য জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোনো মানুষই অন্য মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, আমাদের বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে, কীভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”
নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এটি বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়। গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও তা কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্পকে মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন; যদি চান, সেখানেই লেখকের সার্থকতা।
Be the first to review “আয়না প্রথম অংশ”
Your email address will not be published.