-
চলচ্চিত্রের রূপ-অরূপ
এই বইটিতে চারটি অধ্যায় ভাগ আছে এবং সব মিলে চৌদ্দটি লেখা আছে। কিন্তু একটি ভাবনা যেন আছে পুরো বইটি জুড়েই। সেটি হচ্ছে এই সময়ে, একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে চলমান ছবির আধিপত্য নিয়ে।
-
প্রামাণ্যচিত্রকথা
প্রামাণ্যচিত্রের সত্য-যাত্রা, তার ইতিহাসের অ্যাডভেঞ্চার প্রযুক্তি বেয়ে তার সম্ভাবনার অসীম স্থিতিস্থাপকতা- এভাবে প্রামাণ্যচিত্রকথার শুরু। বিকল্প প্রকল্পে অথবা জাতীয় চলচ্চিত্রের ল্যান্ডস্কেপে প্রামাণ্যচিত্রের নির্ধারক ভূমিকা আর তারই স্বভাব-চলনে একালের বাংলাদেশের প্রামাণ্যচিত্র। এইসব তার কথা-প্রমাণ্যচিত্রকথা।
-
সভ্যতার সংকট ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
সত্যজিৎ রায়ের গল্প আর সংলাপের নুয়ান্স, সূক্ষ্ম ডিটেইলের কাজ, তাঁর ভারসাম্যময় কম্পোজিশন, সংযমী সম্পাদনা নিয়ে প্রচলিত মুগ্ধ উচ্চারণের বাইরে এই চলচ্চিত্রপঞ্জি। এটা নিয়ে কি আর কোনো পঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করা যায়? পুঁজিবাদী বিচ্ছিন্নতা, আরবান গেরিলাযুদ্ধ, বিশ শতকের নতুন তরুণের লিবিডো অথবা নাগরিকদের নৈতিকতার সংকট নিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায় কি? এসব খতিয়ে দেখতে দেখতে প্রায় তিরিশ বছর ধরে এই গ্রন্থের নির্মাণ। চেষ্টা করা গেছে সত্যজিৎ রায়ের ধ্রুপদী ঐশ্বর্য এবং কালাতিক্রমী প্রাসঙ্গিকতার এক কম্পোজিট পাঠ উপস্থাপনের।