-
হার স্টোরিজ: বাংলার দুঃসাহসী মেয়েদের গল্প
এই বইটির পেছনে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন প্রাচীন বাংলার অন্যতম কিংবদন্তি খনা। তিনি ছিলেন অকুতোভয় এবং একজন দুর্নিবার নারী যার প্রজ্ঞা আজও আমাদের পথ দেখায়… বইটি সকল শিশু-কিশোর এবং অবশ্যই মায়েদের জন্য…
বইটি চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা পিপল’স ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপল’স এজ-এ ছবি আঁকছেন, প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ ছিলেন পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটি সেই অবিভক্ত ভারতবর্ষের সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরাকানের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রধান ঘাঁটি কক্স’স বাজারের পাশাপশি রয়েছে শোষক রেল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা, মুম্বাইয়ের রেল-শ্রমিকদের লড়াইয়ের খবর।
সত্যজিৎ রায়ের গল্প আর সংলাপের নুয়ান্স, সূক্ষ্ম ডিটেইলের কাজ, তাঁর ভারসাম্যময় কম্পোজিশন, সংযমী সম্পাদনা নিয়ে প্রচলিত মুগ্ধ উচ্চারণের বাইরে এই চলচ্চিত্রপঞ্জি। এটা নিয়ে কি আর কোনো পঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রবেশ করা যায়? পুঁজিবাদী বিচ্ছিন্নতা, আরবান গেরিলাযুদ্ধ, বিশ শতকের নতুন তরুণের লিবিডো অথবা নাগরিকদের নৈতিকতার সংকট নিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া যায় কি? এসব খতিয়ে দেখতে দেখতে প্রায় তিরিশ বছর ধরে এই গ্রন্থের নির্মাণ। চেষ্টা করা গেছে সত্যজিৎ রায়ের ধ্রুপদী ঐশ্বর্য এবং কালাতিক্রমী প্রাসঙ্গিকতার এক কম্পোজিট পাঠ উপস্থাপনের।
বিংশ শতাব্দীর তরুণ সব প্রজন্মকে নির্মাণ করেছে রুশ বিপ্লব—এ কথা বললে খুব কমই বলা হবে। কেননা পৃথিবীতে এটিই এমন কোনো বিপ্লব যা হাজার বছরের কালপ্রবাহে মানব সমাজের অচলায়তনকে প্রথম কাঁপিয়ে তোলে।
এতে সংশয় নেই যে, রুশ বিপ্লব দ্বিতীয়বার হবে না; কিন্তু এ-ও সত্য যে, মানুষের সাম্য ও সমতার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার কারণেই আরও নির্ভুল প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতেও সমতার গান বেজে উঠবে এবং নতুন কোনো বিপ্লব নিশ্চয়ই ঘটবে।
মাজহারুল ইসলামের নিজস্ব বাক্য সাজিয়ে তৈরি হলাে মাজহারুল ইসলাম স্বয়ং বইটি, যেখানে উঠে এসেছে স্থাপত্য, দেশ, পৃথিবী, সর্বোপরি মানুষের কথা।