-
এক ব্যাগ শিল্প
‘১ ব্যাগ শিল্প’ মূলত বাংলা ও কিছু ইংরেজি ভাষায় লেখা অভিনব রচনা সংকলন: আদতে ‘১ ব্যাগ শিল্প’ কতিপয় ব্যক্তিগতভাবে লেখা শিল্প-ঐতিহাসিক রচনা, চিঠিপত্র, ফটোচিত্র, নিবন্ধ, খতিয়ান প্রতিস্থাপিত করে একটি মৃদু মেনিফেস্টো হিসেবে প্রকাশিত হতে চেয়েছে, হয়ে উঠতে চেয়েছে বাংলার শিল্পী ও শিল্প অনুরাগীদের তাকে থাকা দোমড়ানো হাত বহি। এই বইতে কথোপকথন ও চিত্রে সংকলিত হয়েছেন কে.জি. সুব্রাহ্মনিয়ান, শাহাবুদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, শহিদ সুরাবর্দী, উৎপল কুমার বসু, বাইস ক্যুরিগার, হারাল্ড জ্যিমান প্রমুখ; আছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, তারেক মাসুদ এবং নুরুল আলম আতিক-ও; মধুবালাকে নিয়ে যেমন ফটো এসে আছে তেমনি সুমিতা দেবী’র আত্মস্মৃতিচারণ, বা সুচিত্রা সেনের হারিয়ে যাওয়া ইন্টারভিউ; রিউমার গডেন যিনি ‘দ্য রিভার’ উপন্যাসটির লেখিকা, ও যেই উপন্যাসকে অবলম্বন করে জাঁ রোনোয়া একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তাঁর ভিটা ভাঙার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, সত্যজিৎ রায় যেই বাড়িতে তার ‘জলসাঘর’ চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করেছিলেন তা নিয়ে তৈরি করেছি ছবি-গল্প, নভেরার অন্ত্যেস্টিক্রিয়ার ছবি কিংবা ১৯৩১ সালে উদয় শঙ্করের ইউরোপ ভ্রমণের ছবির মতো বিষয়াদিও এখানে আছে; অঞ্জন সেনকে লেখা অমিয়ভূষণের চিঠি, বা অদ্বৈত মল্ল বর্মণের উপর আলোকপাত করে রোম থেকে লেখা আবুল কালাম শামসুদ্দিনের চিঠি, যামিনী রায়ের বিষ্ণু দে’কে লেখা চিঠি ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভালো লেখা নয়, বরং একটি তীব্র বয়ানের রূপ-রেখা নিয়ে আপনার সামনে হাজির হবে বলে আশা করছি।
-
গেরিলা গার্লসের পাশ্চাত্য শিল্প ইতিহাস (বিষয়ক) প্রবেশিকা
পথ-প্রদর্শক হিসেবে গেরিলা গার্লসকে সঙ্গে নিয়ে, পাশ্চাত্য শিল্পের দুই হাজার বছর জুড়ে হেসে খেলে বেড়িয়ে আসুন। আবিষ্কার করুন শিল্প ইতিহাসের প্রকৃত ‘কে’, ‘কী’, ‘কখন’, আর ‘কেন’।
-
ডিজিটাল ইমেজ রাজনীতি, নন্দনতত্ত্ব ও অন্যান্য
প্রযুক্তি কি প্রভাবিত করে নন্দনতত্ত্বকে? শিল্পের ভাষা এবং তার রাজনীতি কি বিবর্তিত হয় প্রযুক্তির প্রভাবে? ইমেজের ডিজিটাল রূপান্তর কি প্রযুক্তির পালা বদল না কি প্যারাডাইম শিফট? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এই বইয়ের সূচিপত্র গড়ে উঠেছে; ক্রমে। এই সময়ে আমাদের সম্পর্কগুলো—ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব এবং মহাবিশ্বের পরিধিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভাষায় বর্ণিত হচ্ছে। তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রকাশ ডিজিটাল ইমেজে। এই ইমেজ মানুষের সৃষ্ট আগের সব ইমেজের চেয়ে ভিন্ন এভাবে যে, সে চূড়ান্তভাবে নমনীয়, পরিবর্তনীয় এবং সে ছাড়িয়ে যেতে পরে তার আদি স্রষ্টাকে এবং হয়ে পড়তে পারে প্রায় স্বয়ম্ভূ। ডিজিটাল ইমেজের প্রযুক্তি, নন্দনতাত্ত্বিক বাস্তবতা ও সম্ভাবনা, তার অ্যানার্কি আমাদের আগ্রহের বিষয়—এই গ্রন্থে।
-
দুই শিল্পীর চিঠি: পারস্পরিক-পারম্পরিক
উনিশ শতকের post-impressionist যুগের দুই দিকপাল শিল্পী ভিনসেন্ট ভান গখ ও পল গগ্যাঁ। ১৮৮৭ সালের শেষদিকে প্যারিসে দুজনের প্রথম দেখা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় দুজনের পত্রালাপ। ক্রমে পরস্পরের সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্বে রূপ নেয়। পরবর্তী সময়ে মহান শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও জীবদ্দশায় দুজনের কেউই স্বীকৃতি পাননি। গগ্যাঁকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পীদের জন্য একটি commune গড়ে তুলতে ভিনসেন্ট খুবই উদগ্রীব ছিলেন। প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে সম্পর্ক গড়ে ওঠা, কিছুটা টানাপোড়েন এবং তা সত্ত্বেও দুজনের ভেতর এক অবিচ্ছেদ্য টান – চিঠিগুলো থেকে এমন এক গল্পের আভাস পাওয়া যায়। দুজনের বন্ধুত্ব যেন পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে। এই সংকলনটির পাঠ পাঠকের আগ্রহ নিবৃত্ত করে না বরং এই দুই শিল্পীর জীবন সম্পর্কে আরো জানতে পাঠককে উৎসুক করে তোলে।
-
শিল্পতত্ত্বের গোড়ার পাঠ
শিল্প কী, এর মানে কী এবং কেন আমরা একে মূল্য দিই— এ বই এই সব নিয়ে লেখা। বিভিন্ন শিল্পতত্ত্ব এখানে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। যেমন প্রথা তত্ত্ব, আঙ্গিক তত্ত্ব, অনুকরণ তত্ত্ব, প্রকাশ তত্ত্ব, অবধারণ তত্ত্ব, উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব ইত্যাদি— কিন্তু ক্রমানুসারে নয়, বরং আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী।
কিন্তু ‘শিল্প’ কথাটা অনেক দেশে বা যুগে প্রযোজ্যই ছিল না। শিল্পীদের চর্চা এবং ভূমিকা বিস্ময়কর ভাবে যৌগিক ও অধরা। প্রাচীন এবং আধুনিক উপজাতির মানুষেরা শিল্পকে আর্টিফ্যাক্ট থেকে আলাদা করে দেখে না। মধ্যযুগীয় ইউরোপিয়ান খ্রিস্টানেরা ঠিক ‘শিল্প’ তৈরি করেনি, বরং ঈশ্বরের সৌন্দর্য অনুকরণ ও তা উদ্যাপনের চেষ্টা করেছিল। ধ্রুপদী জাপানি নন্দনতত্ত্বে উদ্যান, তলোয়ার, ক্যালিগ্রাফিক স্ক্রল অথবা টি সেরেমনির মতো বিষয়ও শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যা আধুনিক পশ্চিমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।
প্লেটো-পরবর্তী অনেক দার্শনিকই শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক তত্ত্ব হাজির করেছেন। এখানে তাঁদের কয়েকজনকে বিশদ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যযুগীয় মহীরুহ টমাস আকুইনাস, এনলাইটেনমেন্টের মুখ্য ব্যক্তিত্ব ডেভিড হিউম ও ইমানুয়েল কান্ট, কুখ্যাত প্রথাবিরোধী ফ্রিডরিখ নিটশে এবং বিশ শতকের জন ডিউই, আর্থার ডান্টো, মিশেল ফুকো এবং জাঁ বদ্রিয়ার। সমাজবিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্প-ইতিহাস ও সমালোচনা, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং অন্যান্য শাখার তাত্ত্বিক, যারা শিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাঁদের কথাও এখানে বলা হয়েছে।
বাংলা ভাষায় এ বইয়ের অনেক প্রসঙ্গ কখনও উত্থাপিতই হয়নি।
-
সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ ১৯৪৩-১৯৪৮
বইটি চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা পিপল’স ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপল’স এজ-এ ছবি আঁকছেন, প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ ছিলেন পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটি সেই অবিভক্ত ভারতবর্ষের সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরাকানের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রধান ঘাঁটি কক্স’স বাজারের পাশাপশি রয়েছে শোষক রেল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা, মুম্বাইয়ের রেল-শ্রমিকদের লড়াইয়ের খবর।
নোকতা (বাংলাদেশ) ও বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ)-এর যৌথ নিবেদনে প্রকাশিত হচ্ছে এই বই বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পঞ্চাশ বছর পূর্তির ক্ষণটিকে স্মরণ করে। একদা অখণ্ড বাংলার চট্টগ্রামে শিল্পী ও রাজনীতিক হিসেবে চিত্তপ্রসাদের জন্ম হয়েছিল, এখন দ্বিখণ্ডিত বাংলার দুই খণ্ড সেই ক্ষণটিকেও স্মরণ করছে।
-
স্বয়ং – মাজহারুল ইসলাম
স্থপতি নুরুর রহমান খান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের সান্নিধ্যে থেকে নানা বিষয়ে তাঁর সাথে আলােচনা করার এবং তাঁর মতামত জানার সুযােগ পান। এইসব দুর্লভ রেকর্ড থেকে মাজহারুল ইসলামের নিজস্ব বাক্য সাজিয়ে স্থপতি কৌস্তুভ ইসলাম এবং স্থপতি নুরুর রহমান খানের সম্পাদনায় তৈরি হলাে মাজহারুল ইসলাম স্বয়ং বইটি, যেখানে উঠে এসেছে স্থাপত্য, দেশ, পৃথিবী, সর্বোপরি মানুষের কথা।