-
আয়না কথা – আবীর আবদুল্লাহ
বাংলাদেশের আইকনিক ফটোসাংবাদিকদের যে লম্বা তালিকা, তার গ্রাফের উপর দিকে আবীর আবদুল্লাহর বাস। কাজের জায়গায় সোজা-সাপ্টা, বাহুল্য বর্জিত, ড্রামাহীন একজন আলোকচিত্রী।
নিজের ফটোগ্রাফি নিয়ে পরিষ্কার তাঁর লজিক এবং ব্যাখ্যা।“আমি এইভাবে দেখেছি.., বিশেষ কিছু দেখতে চাইনি…। যা আছে তাই…।”
তেমন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ছাড়াই সোজা-সাপ্টা কথার আলোকচিত্রী। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, দৃক, পাঠশালা, ই.পি.এ, ওয়ার্ল্ড প্রেস, আর্ট বনাম ফটোগ্রাফি এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়েই ছাত্র-শিক্ষকের আলাপচারিতা-আয়না কথা।
-
তিনা মোদোত্তি শিল্প . রাজনীতি . জীবন
মৃত্যুর পর প্রায় চার দশক তিনা মোদোত্তি নামটি সর্বতোভাবে চাপা পড়ে থাকে। যা সর্বাংশে রাজনৈতিক, খানিকটা অবহেলারও। আশির দশকের গোড়া থেকে তিনা আবারও শিল্প-সংষ্কৃতি-রাজনীতির আলোচনায় ফিরে আসেন। ছেচল্লিশ বছরের আয়ুষ্কাল পেয়েছিলেন তিনা মোদোত্তি। এই অল্প সময়েই মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেতা, আলোকচিত্রী এবং রাজনীতিক হিসেবে কর্মময় জীবন কাটিয়েছেন। ইতালিতে জন্মগ্রহণ করলেও, মেক্সিকোর শিল্প ও রাজনীতির ইতিহাসে তিনা অবিস্মরণীয়।
এই গ্রন্থটিতে তিনা মোদোত্তির বর্ণময় জীবন ও জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা বা প্রভাবসঞ্চারক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ইত্যাদি কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপরই আলোকপাত করা হয়নি সচেতনভাবে। বরং নির্মোহ জায়গা থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে, বিস্মৃত একটি জীবনের দিকে ফিরে তাকালে যেভাবে দেখা হয়। -
যে-ব্যথা আনজনের
যুদ্ধের ছবি আসলে কী কাজ করে? কোন ছবিগুলো দেখানো হচ্ছে বারবার? কারা দেখাচ্ছে? কাদের নিষ্ঠুরতা দেখানোই হচ্ছে না? কেমন প্রতিক্রিয়া বানিয়ে তোলা হচ্ছে? যুদ্ধের নিবারণ কি আদৌ সম্ভব? অন্যের দুর্দশার ছবি দেখতে দেখতে কি অসাড় হয়ে যাই আমরা? অভ্যস্ত হয়ে যাই? কারা এই ‘অন্য’রা? ‘আমরা’ই বা কারা? যুদ্ধে যাঁরা গিয়েছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, মারা গিয়েছেন, তাঁদের কীই বা বলার থাকতে পারে আমাদেরকে? প্রশ্ন তুলছেন সুজান সনটাগ।