Showing all 6 results

  • একটি নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের খণ্ডচিত্র

    নৈরাজ্যবাদী দর্শন বিশ্বব্যাপী পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও একাডেমিক ক্ষেত্রে তা একেবারে অনুপস্থিত বললেই চলে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া ও কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য দীর্ঘকাল যাবৎ নৈরাজ্যবাদীরা নৃবিজ্ঞানীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে এসেছেন। কিন্তু নৃবিজ্ঞানের ঔপনিবেশিক ইতিহাস এবং নৃবিজ্ঞানকে একটি রাজনৈতিক জ্ঞানকাণ্ডে রূপদানের ব্যাপারে নৃবিজ্ঞানীদের অনীহা বা সংকোচের কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। গ্রেবার তাঁর এই লেখায় নৈরাজ্যবাদ ও নৃবিজ্ঞানের সম্ভাব্য সম্পর্ককে তুলে ধরার মাধ্যমে যাচাই করার চেষ্টা করেছেন। এই লেখাটি সম্ভাব্যতার জগতে আটকে থাকা ‘নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের’ বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ সম্পর্কে আমাদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 330.00
  • দেখার যত উপায়

    ১৯৭২ সালে জন বার্জার বিবিসি টেলিভিশনে ওয়ে’জ অফ সিয়িং নামে একটি ধারাবাহিক প্রচার করেন; টেলিভিশন প্রযোজনাটির প্রচার হলে তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাতে দৃশ্যমাধ্যমের প্রতি দর্শকের পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পেঙ্গুইন প্রকাশনা সংস্থা একে তখন গ্রন্থবদ্ধ রূপে হাজির করে।
    সরলভাবে এ হল ‘দেখা’র সন্দর্ভ। অতীতে শিল্পকর্মকে কিভাবে দেখা হত, বর্তমানে পুনরুৎপাদনের যুগে এসে তা কেমন দাঁড়িয়েছে, যান্ত্রিক পুনরুৎপাদন আমাদের দেখার পথকে কিভাবে পাল্টে দিচ্ছে, আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে, ইউরোপীয় চিত্রকলায় নারী কিভাবে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণে উপস্থাপিত, তৈলচিত্রের অংকনের ধারায় কেমন করে বস্তুগত মালিকানার বোধ চরিতার্থ হয় এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ইমেজ ব্যবহারের কৌশলে যেমন করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিহিত থাকে সেই দেখার দুয়ারগুলোই এই ডিসকোর্সের বিষয়।
    বর্তমান ভিস্যুয়াল কালচারের যুগে এর ভূমিকা ব্যাপক ও অনিবার্য। কারণ এ হল দেখার সন্দর্ভ, দৃশ্যগতের বিচার; দৃশ্যগত সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যা অনিবার্য প্রসঙ্গ। এই আলোচনা দৃশ্য মাধ্যমে আগ্রহী প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।
    এই গ্রন্থের প্রকাশের চল্লিশ বছর পূর্তি বিশ্বজোড়া উদযাপিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষে বার্জারের এই গ্রন্থের ভাষান্তর ও ভাষ্য আমাদের নিবেদন।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 385.00
  • মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস

    ৭০’র দশকে হার্ভার্ডের এডুকেশনাল রিভিউয়ের জন্য লিখিত পাউলো ফ্রেইরির দুইটি নিবন্ধ নিয়ে পরবর্তী কালে কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম বইটি প্রকাশিত হয়। যা ‘পেডাগজি অব দ্য অপ্রেসড’ বইয়েরই এক প্রকার ধারাবাহিকতা। শিক্ষাচিন্তা, অধ্যয়নের দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি’র বোঝাবুঝি এই বইয়ের মূল উপাদান।
    পাউলো-র শিক্ষাচিন্তার মূল কথা হলো প্রতিটি মানুষ এক-একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সত্তা, যিনি পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং নতুন করে গড়তে পারেন। মানুষের চেতনা রূপ পায় আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর মানুষটির নিজস্ব পারিপার্শ্বিকের প্রভাবে। তত্ত্ব-কর্ম-সমন্বয়ী বিশ্লেষণী চেতনা মানুষকে ভাবনা থেকে কাজে অগ্রসর হতে শেখায়। শোষকের আরোপিত নৈঃশব্দ্যের সংস্কৃতি নিপীড়ন জারি রাখতে সাহায্য করে এবং মিথ্যা কিছু ভাবনার মধ্যে মানুষকে আটকে রাখে। সেই নৈঃশব্দ্য ভাঙতে পারে একমাত্র শিক্ষা।
    আর এই বই আমাদের সেই বিশ্লেষণী চেতনায়নের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে মুক্তি অর্জনের পথ করে নেওয়া শেখায়।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 185.00
  • লোকশিল্পদর্শন

    এ সংকলনের বিষয় হতে পারত লোকশিল্পের প্রকৃতি,
    হতে পারত জীবন, হতে পারত নারী,
    হতে পারত গৃহস্থালির দ্রব্য বা হাতের যন্ত্র।
    এমনকী পোশাক, অবশ্যই অনুষ্ঠান, পট আর পুতুল।
    এই সবই আমাদের লোকশিল্প-দর্শনে আছে।

    এই দর্শন শুধু তালিকা আর সমীক্ষা, ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ,
    বর্গীকরণ আর সংরক্ষণে নেই। বরং তা যেতে চায় তার মর্মে,
    তার দর্শনে। শিল্পের এই মর্ম বা দর্শন বা তার আত্মা- তালিকা বা
    সমীক্ষা, ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ, বর্গীকরণ আর সংরক্ষণে কতটা থাকে?
    এ সবের যে দরকার নেই তা নয়,
    প্রাথমিক ভাবে খুবই দরকার- কিন্তু তার পর তা যেতে চায় তার
    মর্মে, তার দর্শনে। সে পর্যায়ে আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে।
    যাওয়ার পথে এই লেখাগুলি কাজে লাগবে।

    বস্তুত শিল্পের মর্ম থাকে তার অস্তিত্বে,
    তার রঙরূপলাবণ্যে, তার বস্তুত্বে। না-দেখে, না ছুঁয়ে, না জড়িয়ে
    বা সংক্ষেপে ভালোবেসে তার সঙ্গে ঘর না-করে
    তাকে পাওয়ার উপায় নেই।

    এ সংকলনে লোকশিল্পের একদল আদত শিল্পপ্রেমিকের
    ঐ ঘর করার অভিজ্ঞতাই আছে-তার মর্ম আছে, দর্শন আছে।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 285.00
  • শিল্পতত্ত্বের গোড়ার পাঠ

    শিল্প কী, এর মানে কী এবং কেন আমরা একে মূল্য দিই— এ বই এই সব নিয়ে লেখা। বিভিন্ন শিল্পতত্ত্ব এখানে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। যেমন প্রথা তত্ত্ব, আঙ্গিক তত্ত্ব, অনুকরণ তত্ত্ব, প্রকাশ তত্ত্ব, অবধারণ তত্ত্ব, উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব ইত্যাদি— কিন্তু ক্রমানুসারে নয়, বরং আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী।

    কিন্তু ‘শিল্প’ কথাটা অনেক দেশে বা যুগে প্রযোজ্যই ছিল না। শিল্পীদের চর্চা এবং ভূমিকা বিস্ময়কর ভাবে যৌগিক ও অধরা। প্রাচীন এবং আধুনিক উপজাতির মানুষেরা শিল্পকে আর্টিফ্যাক্ট থেকে আলাদা করে দেখে না। মধ্যযুগীয় ইউরোপিয়ান খ্রিস্টানেরা ঠিক ‘শিল্প’ তৈরি করেনি, বরং ঈশ্বরের সৌন্দর্য অনুকরণ ও তা উদ্‌যাপনের চেষ্টা করেছিল। ধ্রুপদী জাপানি নন্দনতত্ত্বে উদ্যান, তলোয়ার, ক্যালিগ্রাফিক স্ক্রল অথবা টি সেরেমনির মতো বিষয়ও শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যা আধুনিক পশ্চিমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।

    প্লেটো-পরবর্তী অনেক দার্শনিকই শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক তত্ত্ব হাজির করেছেন। এখানে তাঁদের কয়েকজনকে বিশদ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যযুগীয় মহীরুহ টমাস আকুইনাস, এনলাইটেনমেন্টের মুখ্য ব্যক্তিত্ব ডেভিড হিউম ও ইমানুয়েল কান্ট, কুখ্যাত প্রথাবিরোধী ফ্রিডরিখ নিটশে এবং বিশ শতকের জন ডিউই, আর্থার ডান্টো, মিশেল ফুকো এবং জাঁ বদ্রিয়ার। সমাজবিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্প-ইতিহাস ও সমালোচনা, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং অন্যান্য শাখার তাত্ত্বিক, যারা শিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাঁদের কথাও এখানে বলা হয়েছে।

    বাংলা ভাষায় এ বইয়ের অনেক প্রসঙ্গ কখনও উত্থাপিতই হয়নি।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 260.00
  • স্বপ্ন বিপ্লব ও শ্রেণিসুবিধা

    বিংশ শতাব্দীর তরুণ প্রজন্ম বার বার স্বপ্ন দেখেছে—সাম্যের স্বপ্ন, স্বাধীনতার স্বপ্ন। আর তাই অনিবার্যভাবে বিপ্লবের স্বপ্নও দেখেছে তারা। তাদের সে স্বপ্নকে নিঃসন্দেহে আরও বেগবান করেছিল রুশ বিপ্লব।
    কিন্তু এ-ও সত্য, এক শতাব্দী পেরুতে না পেরুতেই কি সামন্তবাদী, কি পুঁজিবাদী-বৈষম্য ও শোষণময় সব রকমের সমাজব্যবস্থার নাভিশ্বাস তোলা এই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়েছিল।
    এতে সংশয় নেই যে, রুশ বিপ্লব দ্বিতীয়বার হবে না; কিন্তু এ-ও সত্য যে, মানুষের সাম্য ও সমতার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার কারণেই আরও নির্ভুল প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতেও সমতার গান বেজে উঠবে এবং নতুন কোনো বিপ্লব নিশ্চয়ই ঘটবে।

    একটু পড়ে দেখুন

    ৳ 185.00