-
CINEMA OF BANGLADESH A BRIEF HISTORY
This book is a snapshot of the first hundred and twenty years or so of cinema in Bangladesh. The shot is a panoramic one. It would require further studies on the part of an inquisitive mind interested in the details of this snapshot. The relevance of this work lies in the enquiry that it may arouse and the process of intellectual and methodical pursuit that it may stimulate about the subject.
read a little
-
অ-In The Quest of Bangla Typography
The interest in typography amongst contemporary youth is the creative impulse that this work has emerged from. Technology has empowered them to an extent never observed before, however, they should not have endured academic barrenness in the field of Bengali typography. This book is not academic by nature. It consists of appreciation and interpretations gathered during several years of my search on the authentic representation of Bengali letterforms. This is my offering to a new generation of professionals who will advance this task with scholarly excellence.
read a little
-
আয়না কথা – আবীর আবদুল্লাহ
বাংলাদেশের আইকনিক ফটোসাংবাদিকদের যে লম্বা তালিকা, তার গ্রাফের উপর দিকে আবীর আবদুল্লাহর বাস। কাজের জায়গায় সোজা-সাপ্টা, বাহুল্য বর্জিত, ড্রামাহীন একজন আলোকচিত্রী।
নিজের ফটোগ্রাফি নিয়ে পরিষ্কার তাঁর লজিক এবং ব্যাখ্যা।“আমি এইভাবে দেখেছি.., বিশেষ কিছু দেখতে চাইনি…। যা আছে তাই…।”
তেমন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ছাড়াই সোজা-সাপ্টা কথার আলোকচিত্রী। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, দৃক, পাঠশালা, ই.পি.এ, ওয়ার্ল্ড প্রেস, আর্ট বনাম ফটোগ্রাফি এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়েই ছাত্র-শিক্ষকের আলাপচারিতা-আয়না কথা।
-
একটি নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের খণ্ডচিত্র
নৈরাজ্যবাদী দর্শন বিশ্বব্যাপী পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও একাডেমিক ক্ষেত্রে তা একেবারে অনুপস্থিত বললেই চলে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া ও কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য দীর্ঘকাল যাবৎ নৈরাজ্যবাদীরা নৃবিজ্ঞানীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে এসেছেন। কিন্তু নৃবিজ্ঞানের ঔপনিবেশিক ইতিহাস এবং নৃবিজ্ঞানকে একটি রাজনৈতিক জ্ঞানকাণ্ডে রূপদানের ব্যাপারে নৃবিজ্ঞানীদের অনীহা বা সংকোচের কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। গ্রেবার তাঁর এই লেখায় নৈরাজ্যবাদ ও নৃবিজ্ঞানের সম্ভাব্য সম্পর্ককে তুলে ধরার মাধ্যমে যাচাই করার চেষ্টা করেছেন। এই লেখাটি সম্ভাব্যতার জগতে আটকে থাকা ‘নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের’ বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ সম্পর্কে আমাদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।
-
গেরিলা গার্লসের পাশ্চাত্য শিল্প ইতিহাস (বিষয়ক) প্রবেশিকা
পথ-প্রদর্শক হিসেবে গেরিলা গার্লসকে সঙ্গে নিয়ে, পাশ্চাত্য শিল্পের দুই হাজার বছর জুড়ে হেসে খেলে বেড়িয়ে আসুন। আবিষ্কার করুন শিল্প ইতিহাসের প্রকৃত ‘কে’, ‘কী’, ‘কখন’, আর ‘কেন’।
-
তিনা মোদোত্তি শিল্প . রাজনীতি . জীবন
মৃত্যুর পর প্রায় চার দশক তিনা মোদোত্তি নামটি সর্বতোভাবে চাপা পড়ে থাকে। যা সর্বাংশে রাজনৈতিক, খানিকটা অবহেলারও। আশির দশকের গোড়া থেকে তিনা আবারও শিল্প-সংষ্কৃতি-রাজনীতির আলোচনায় ফিরে আসেন। ছেচল্লিশ বছরের আয়ুষ্কাল পেয়েছিলেন তিনা মোদোত্তি। এই অল্প সময়েই মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেতা, আলোকচিত্রী এবং রাজনীতিক হিসেবে কর্মময় জীবন কাটিয়েছেন। ইতালিতে জন্মগ্রহণ করলেও, মেক্সিকোর শিল্প ও রাজনীতির ইতিহাসে তিনা অবিস্মরণীয়।
এই গ্রন্থটিতে তিনা মোদোত্তির বর্ণময় জীবন ও জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা বা প্রভাবসঞ্চারক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ইত্যাদি কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপরই আলোকপাত করা হয়নি সচেতনভাবে। বরং নির্মোহ জায়গা থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে, বিস্মৃত একটি জীবনের দিকে ফিরে তাকালে যেভাবে দেখা হয়। -
দুই শিল্পীর চিঠি: পারস্পরিক-পারম্পরিক
উনিশ শতকের post-impressionist যুগের দুই দিকপাল শিল্পী ভিনসেন্ট ভান গখ ও পল গগ্যাঁ। ১৮৮৭ সালের শেষদিকে প্যারিসে দুজনের প্রথম দেখা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় দুজনের পত্রালাপ। ক্রমে পরস্পরের সম্পর্ক গভীর বন্ধুত্বে রূপ নেয়। পরবর্তী সময়ে মহান শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পেলেও জীবদ্দশায় দুজনের কেউই স্বীকৃতি পাননি। গগ্যাঁকে সঙ্গে নিয়ে শিল্পীদের জন্য একটি commune গড়ে তুলতে ভিনসেন্ট খুবই উদগ্রীব ছিলেন। প্রথম পরিচয় থেকে শুরু করে সম্পর্ক গড়ে ওঠা, কিছুটা টানাপোড়েন এবং তা সত্ত্বেও দুজনের ভেতর এক অবিচ্ছেদ্য টান – চিঠিগুলো থেকে এমন এক গল্পের আভাস পাওয়া যায়। দুজনের বন্ধুত্ব যেন পরিণত হয়েছে কিংবদন্তিতে। এই সংকলনটির পাঠ পাঠকের আগ্রহ নিবৃত্ত করে না বরং এই দুই শিল্পীর জীবন সম্পর্কে আরো জানতে পাঠককে উৎসুক করে তোলে।
-
দেখার যত উপায়
১৯৭২ সালে জন বার্জার বিবিসি টেলিভিশনে ওয়ে’জ অফ সিয়িং নামে একটি ধারাবাহিক প্রচার করেন; টেলিভিশন প্রযোজনাটির প্রচার হলে তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাতে দৃশ্যমাধ্যমের প্রতি দর্শকের পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পেঙ্গুইন প্রকাশনা সংস্থা একে তখন গ্রন্থবদ্ধ রূপে হাজির করে।
সরলভাবে এ হল ‘দেখা’র সন্দর্ভ। অতীতে শিল্পকর্মকে কিভাবে দেখা হত, বর্তমানে পুনরুৎপাদনের যুগে এসে তা কেমন দাঁড়িয়েছে, যান্ত্রিক পুনরুৎপাদন আমাদের দেখার পথকে কিভাবে পাল্টে দিচ্ছে, আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে, ইউরোপীয় চিত্রকলায় নারী কিভাবে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণে উপস্থাপিত, তৈলচিত্রের অংকনের ধারায় কেমন করে বস্তুগত মালিকানার বোধ চরিতার্থ হয় এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ইমেজ ব্যবহারের কৌশলে যেমন করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিহিত থাকে সেই দেখার দুয়ারগুলোই এই ডিসকোর্সের বিষয়।
বর্তমান ভিস্যুয়াল কালচারের যুগে এর ভূমিকা ব্যাপক ও অনিবার্য। কারণ এ হল দেখার সন্দর্ভ, দৃশ্যগতের বিচার; দৃশ্যগত সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যা অনিবার্য প্রসঙ্গ। এই আলোচনা দৃশ্য মাধ্যমে আগ্রহী প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।
এই গ্রন্থের প্রকাশের চল্লিশ বছর পূর্তি বিশ্বজোড়া উদযাপিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষে বার্জারের এই গ্রন্থের ভাষান্তর ও ভাষ্য আমাদের নিবেদন। -
মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস
৭০’র দশকে হার্ভার্ডের এডুকেশনাল রিভিউয়ের জন্য লিখিত পাউলো ফ্রেইরির দুইটি নিবন্ধ নিয়ে পরবর্তী কালে কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম বইটি প্রকাশিত হয়। যা ‘পেডাগজি অব দ্য অপ্রেসড’ বইয়েরই এক প্রকার ধারাবাহিকতা। শিক্ষাচিন্তা, অধ্যয়নের দর্শন, রাজনীতি, অর্থনীতি’র বোঝাবুঝি এই বইয়ের মূল উপাদান।
পাউলো-র শিক্ষাচিন্তার মূল কথা হলো প্রতিটি মানুষ এক-একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সত্তা, যিনি পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং নতুন করে গড়তে পারেন। মানুষের চেতনা রূপ পায় আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর মানুষটির নিজস্ব পারিপার্শ্বিকের প্রভাবে। তত্ত্ব-কর্ম-সমন্বয়ী বিশ্লেষণী চেতনা মানুষকে ভাবনা থেকে কাজে অগ্রসর হতে শেখায়। শোষকের আরোপিত নৈঃশব্দ্যের সংস্কৃতি নিপীড়ন জারি রাখতে সাহায্য করে এবং মিথ্যা কিছু ভাবনার মধ্যে মানুষকে আটকে রাখে। সেই নৈঃশব্দ্য ভাঙতে পারে একমাত্র শিক্ষা।
আর এই বই আমাদের সেই বিশ্লেষণী চেতনায়নের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে মুক্তি অর্জনের পথ করে নেওয়া শেখায়। -
মেয়েদের হার মেয়েদের জিত
আমার বয়স যখন ছিল তিরিশ, তখন যদি কেউ বলত যে আমার নারী-সমস্যা নিয়ে লেখা উচিত, এবং আমার সমস্ত সিরিয়াস পাঠকই মেয়েরা, তবে আমি বিস্মিত হতাম, এমনকি বিরক্ত হতাম। শেষ পর্যন্ত যে তা-ই হল, এতে আমার কোনো অনুশোচনা নেই। খণ্ডিত, বিক্ষত যে-জগৎ তাদের অসুবিধার মধ্যে ফেলেছে, সেখানে তাদের জয় করার আছে অনেক লড়াই, পাওয়ার আছে অনেক পুরস্কার, যন্ত্রণার জন্যেও আছে অনেক পরাজয়-পুরুষদের যা নেই।
মেয়েদের আমি দেখতে শুরু করলাম নতুন দৃষ্টিতে, আর দেখলাম যে আমার জন্য সেখানে পর-পর একাধিক বিস্ময় অপেক্ষা করে আছে। চল্লিশ পেরিয়ে জগতের এমন একটা দিক হঠাৎ আবিষ্কার করাটা যেমন আশ্চর্যের, প্রায় তেমনই উদ্দীপনার। তোমার দিকে সরাসরি সব সময়ে তাকিয়ে আছে তা, অথচ যা তুমি আগে কখনও খেয়াল করে দেখোনি। -
লোকশিল্পদর্শন
এ সংকলনের বিষয় হতে পারত লোকশিল্পের প্রকৃতি,
হতে পারত জীবন, হতে পারত নারী,
হতে পারত গৃহস্থালির দ্রব্য বা হাতের যন্ত্র।
এমনকী পোশাক, অবশ্যই অনুষ্ঠান, পট আর পুতুল।
এই সবই আমাদের লোকশিল্প-দর্শনে আছে।এই দর্শন শুধু তালিকা আর সমীক্ষা, ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ,
বর্গীকরণ আর সংরক্ষণে নেই। বরং তা যেতে চায় তার মর্মে,
তার দর্শনে। শিল্পের এই মর্ম বা দর্শন বা তার আত্মা- তালিকা বা
সমীক্ষা, ব্যাখ্যা আর বিশ্লেষণ, বর্গীকরণ আর সংরক্ষণে কতটা থাকে?
এ সবের যে দরকার নেই তা নয়,
প্রাথমিক ভাবে খুবই দরকার- কিন্তু তার পর তা যেতে চায় তার
মর্মে, তার দর্শনে। সে পর্যায়ে আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে।
যাওয়ার পথে এই লেখাগুলি কাজে লাগবে।বস্তুত শিল্পের মর্ম থাকে তার অস্তিত্বে,
তার রঙরূপলাবণ্যে, তার বস্তুত্বে। না-দেখে, না ছুঁয়ে, না জড়িয়ে
বা সংক্ষেপে ভালোবেসে তার সঙ্গে ঘর না-করে
তাকে পাওয়ার উপায় নেই।এ সংকলনে লোকশিল্পের একদল আদত শিল্পপ্রেমিকের
ঐ ঘর করার অভিজ্ঞতাই আছে-তার মর্ম আছে, দর্শন আছে। -
শিল্পতত্ত্বের গোড়ার পাঠ
শিল্প কী, এর মানে কী এবং কেন আমরা একে মূল্য দিই— এ বই এই সব নিয়ে লেখা। বিভিন্ন শিল্পতত্ত্ব এখানে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। যেমন প্রথা তত্ত্ব, আঙ্গিক তত্ত্ব, অনুকরণ তত্ত্ব, প্রকাশ তত্ত্ব, অবধারণ তত্ত্ব, উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব ইত্যাদি— কিন্তু ক্রমানুসারে নয়, বরং আলোচনার প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী।
কিন্তু ‘শিল্প’ কথাটা অনেক দেশে বা যুগে প্রযোজ্যই ছিল না। শিল্পীদের চর্চা এবং ভূমিকা বিস্ময়কর ভাবে যৌগিক ও অধরা। প্রাচীন এবং আধুনিক উপজাতির মানুষেরা শিল্পকে আর্টিফ্যাক্ট থেকে আলাদা করে দেখে না। মধ্যযুগীয় ইউরোপিয়ান খ্রিস্টানেরা ঠিক ‘শিল্প’ তৈরি করেনি, বরং ঈশ্বরের সৌন্দর্য অনুকরণ ও তা উদ্যাপনের চেষ্টা করেছিল। ধ্রুপদী জাপানি নন্দনতত্ত্বে উদ্যান, তলোয়ার, ক্যালিগ্রাফিক স্ক্রল অথবা টি সেরেমনির মতো বিষয়ও শিল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, যা আধুনিক পশ্চিমাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।
প্লেটো-পরবর্তী অনেক দার্শনিকই শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব বিষয়ক তত্ত্ব হাজির করেছেন। এখানে তাঁদের কয়েকজনকে বিশদ ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যযুগীয় মহীরুহ টমাস আকুইনাস, এনলাইটেনমেন্টের মুখ্য ব্যক্তিত্ব ডেভিড হিউম ও ইমানুয়েল কান্ট, কুখ্যাত প্রথাবিরোধী ফ্রিডরিখ নিটশে এবং বিশ শতকের জন ডিউই, আর্থার ডান্টো, মিশেল ফুকো এবং জাঁ বদ্রিয়ার। সমাজবিজ্ঞান থেকে শুরু করে শিল্প-ইতিহাস ও সমালোচনা, নৃবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, শিক্ষা এবং অন্যান্য শাখার তাত্ত্বিক, যারা শিল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাঁদের কথাও এখানে বলা হয়েছে।
বাংলা ভাষায় এ বইয়ের অনেক প্রসঙ্গ কখনও উত্থাপিতই হয়নি।
-
সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ ১৯৪৩-১৯৪৮
বইটি চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা পিপল’স ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপল’স এজ-এ ছবি আঁকছেন, প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ ছিলেন পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটি সেই অবিভক্ত ভারতবর্ষের সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরাকানের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রধান ঘাঁটি কক্স’স বাজারের পাশাপশি রয়েছে শোষক রেল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা, মুম্বাইয়ের রেল-শ্রমিকদের লড়াইয়ের খবর।
নোকতা (বাংলাদেশ) ও বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ)-এর যৌথ নিবেদনে প্রকাশিত হচ্ছে এই বই বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পঞ্চাশ বছর পূর্তির ক্ষণটিকে স্মরণ করে। একদা অখণ্ড বাংলার চট্টগ্রামে শিল্পী ও রাজনীতিক হিসেবে চিত্তপ্রসাদের জন্ম হয়েছিল, এখন দ্বিখণ্ডিত বাংলার দুই খণ্ড সেই ক্ষণটিকেও স্মরণ করছে।
-
স্বপ্ন বিপ্লব ও শ্রেণিসুবিধা
বিংশ শতাব্দীর তরুণ প্রজন্ম বার বার স্বপ্ন দেখেছে—সাম্যের স্বপ্ন, স্বাধীনতার স্বপ্ন। আর তাই অনিবার্যভাবে বিপ্লবের স্বপ্নও দেখেছে তারা। তাদের সে স্বপ্নকে নিঃসন্দেহে আরও বেগবান করেছিল রুশ বিপ্লব।
কিন্তু এ-ও সত্য, এক শতাব্দী পেরুতে না পেরুতেই কি সামন্তবাদী, কি পুঁজিবাদী-বৈষম্য ও শোষণময় সব রকমের সমাজব্যবস্থার নাভিশ্বাস তোলা এই বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়েছিল।
এতে সংশয় নেই যে, রুশ বিপ্লব দ্বিতীয়বার হবে না; কিন্তু এ-ও সত্য যে, মানুষের সাম্য ও সমতার চিরন্তন আকাঙ্ক্ষার কারণেই আরও নির্ভুল প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতেও সমতার গান বেজে উঠবে এবং নতুন কোনো বিপ্লব নিশ্চয়ই ঘটবে। -
স্বয়ং – মাজহারুল ইসলাম
স্থপতি নুরুর রহমান খান এক যুগেরও বেশি সময় ধরে স্থপতি মাজহারুল ইসলামের সান্নিধ্যে থেকে নানা বিষয়ে তাঁর সাথে আলােচনা করার এবং তাঁর মতামত জানার সুযােগ পান। এইসব দুর্লভ রেকর্ড থেকে মাজহারুল ইসলামের নিজস্ব বাক্য সাজিয়ে স্থপতি কৌস্তুভ ইসলাম এবং স্থপতি নুরুর রহমান খানের সম্পাদনায় তৈরি হলাে মাজহারুল ইসলাম স্বয়ং বইটি, যেখানে উঠে এসেছে স্থাপত্য, দেশ, পৃথিবী, সর্বোপরি মানুষের কথা।