-
Midnight’s Third Child
Midnight’s Third Child is an anthology of essays by Naeem Mohaiemen on artists and art movements in Bangladesh–with a focus on cinema, literature, and visual arts. “Midnight’s third child” is inspired by the Bangla phrase: “chagol’er tritiyo baccha lafay beshi” (the goat’s third child jumps more). It is also Mohaiemen’s satirical response to the title of Salman Rushdie’s novel Midnight’s Children (1981). The reference points to what was left out of postcolonial art history–the many fates of the geography of Bangladesh. Bangladesh existed under three signs– “East Bengal” under British India until 1947, “East Pakistan” under Two-Wing Pakistan until 1971, and “Bangladesh” after the liberation war of 1971. Given these movements, reversals, and renewals, the art history of Bangladesh remains contingent and fluid.
বাংলাদেশের শিল্পী এবং শিল্প আন্দোলনের উপর নাঈম মোহায়মেনের প্রবন্ধের সংকলন “মিডনাইটস থার্ড চাইল্ড” – যেখানে সিনেমা, সাহিত্য এবং চারুকলা নিয়ে আলোচনা আছে। “মধ্যরাতের তৃতীয় সন্তান” এই প্রবাদবাক্য দ্বারা অনুপ্রাণিত: “ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা লাফায় বেশি”। বাক্যাংশটি সালমান রুশদির উপন্যাস ”মিডনাইটস চিলড্রেন” (১৯৮১) এর শিরোনামের প্রতি মোহায়মেনের হালকা ব্যঙ্গাত্মক প্রতিক্রিয়া।কথাটি মনে করিয়ে দেয় উত্তর-ঔপনিবেশিক শৈল্পিক ইতিহাসের মূলধারা থেকে কী বাদ পড়েছিল – বাংলাদেশের ভূগোলের অনেকগুলো ভাগ্য। বাংলাদেশ তিনটি চিহ্নের অধীনে গত এক শতাব্দিতে বিদ্যমান ছিল- ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে “পূর্ব বাংলা”, ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দুই-উইং পাকিস্তানের অধীনে “পূর্ব পাকিস্তান”, এবং মুক্তিযুদ্ধের পরে “বাংলাদেশ”। আন্দোলন, বিপরীত স্রোত, এবং নবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শিল্পধারা বরাবরই ছিল ঘটনা-প্রবাহিত এবং তরল।
read a little
-
MONIR (Selected Works 1961-2016)
This book contains selected work of Bangladesh’s most significant contemporary artists in painting and printmaking, Monirul Islam. Presented by Energis Limited, MONIR is a comprehensive publication which takes a close look at the full body of his work from the past half a century.
-
আমেদেয়ো মদিলিয়ানি: বিষণ্ণ সৌন্দর্য-প্রেমিক এক শিল্পী
আমেদেয়ো মদিলিয়ানি [১৮৮৪-১৯২০] সেই সব আত্মনিবেদিত শিল্পীর একজন যাঁরা অনিচ্ছাকৃত ভাবে তাঁদের কেন্দ্র করে এক রোমান্টিক কিংবদন্তির জন্ম দেন। মদিলিয়ানি-কে ঘিরে তাঁর অজ্ঞাতসারে যে-কিংবদন্তি গড়ে ওঠে তা এই রকম :
এক দিব্যকান্তি, দরিদ্র, অপচিত ও ক্ষয়িত চিত্রকর যিনি অকালমৃত্যুর শিকার হন অত্যধিক মদ্যপান, মাদকসেবন ও মাত্রাতিরিক্ত শ্রমের ফলে। এই রোমান্টিক কিংবদন্তি আমাদের আধুনিকতাবাদী চেতনার সঙ্গে সংশ্লেষিত হয়ে রচনা করে এক সম্মোহক বিভামণ্ডল, যার ফলে মদিলিয়ানি-র ব্যক্তিজীবন ও শিল্পকর্ম উপেক্ষা করা অসাধ্য হয়ে ওঠে।
স্বল্পায়ু এই শিল্পী বিশ শতকের গোড়ায় আধুনিকতাবাদী শিল্প-আন্দোলনের তুঙ্গপর্বে বিরাজ করলেও তাঁর মধ্যে লক্ষ করি বহু শিল্পী ও শিল্পপ্রবাহের প্রভাব ও সমন্বয়, সহাবস্থান ও আত্মীকরণ। তারুণ্যধর্ম ও প্রতিভাবল— উভয়ই তাঁকে সাহায্য করে ভিন্নধর্মী শিল্পকলা ও শিল্পদর্শন দ্বারা সংক্রামিত ও সক্রিয় হতে। তাঁর মধ্যে আমরা লক্ষ করি বিভিন্ন শিল্পী ও শিল্পভাবের সমাবেশ।
তাঁর শিল্পরচনায় যেমন প্রতিনিধিত্বমূলক বৈশিষ্ট্য লম্বাটে মুখ এবং শরীরী গড়ন আর বক্ররেখা-বেষ্টিত ছন্দযুক্ত পরিণত শৈলী, তেমনই তাঁর নগ্নিকা ও প্রতিকৃতিচিত্রগুলির অন্তিম পর্যায়ের এক অমোচনীয় বিশিষ্টতা, সূক্ষ্ম নকশা এবং পেলব বর্ণপ্রয়োগের নিগূঢ়তার অপাপবিদ্ধ সৌন্দর্য তাড়িত করে আমাদের। হয়তো এই কারণেই জঁ ককতো তাঁর সম্পর্কে বলেন, “সেই বীরত্বময় যুগের সরলতম ও মহত্তম প্রতিভা।”