-
CINEMA OF BANGLADESH A BRIEF HISTORY
This book is a snapshot of the first hundred and twenty years or so of cinema in Bangladesh. The shot is a panoramic one. It would require further studies on the part of an inquisitive mind interested in the details of this snapshot. The relevance of this work lies in the enquiry that it may arouse and the process of intellectual and methodical pursuit that it may stimulate about the subject.
read a little
-
Rohingya 2017 – 25 August
ছোটবেলায় আমার একটি স্ট্যাম্প বই ছিল, যেখানে অনেক স্ট্যাম্প সংগ্রহ করেছিলাম যার বেশিরভাগ বাংলাদেশের জাতীয় সংকটগুলোর উপর তৈরি, যেমন-মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা হত্যা। এই স্ট্যাম্পগুলো আমাকে সেই সংকটপূর্ণ দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয়। এবং এজন্যই, আমি আমার লেন্সের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট ২০১৭-এর একটি স্ট্যাম্প বুক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার আগের স্ট্যাম্প বইগুলি ব্যক্তিগত, তবে এই স্ট্যাম্প প্রকল্পটি সকলের জন্য তৈরি করা হয়েছে যাতে করে লোকেরা লাখ লাখ রোহিঙ্গাদের এই মনুষ্যসৃষ্ট সংকটকে ভুলে না যায়।
– কাউসার হায়দার
-
THE OTHER NATIONAL CINEMA IN BANGLADESH
Alternative Cinema aspires to represent National Cinema in Bangladesh. On the other hand, the problematic term “Art Cinema” is tagged on its forefront. How does this cinema of the margin balance the existence between these two paradoxical positions? It is more pertinent to ask if alternative cinema can be distinguished as a singular cinematic trait at this time of myriad possibilities in the film bazaar. It has been more than three decades now, that the alternative cinema began its formal journey here. The movement; initially in the form of collective activism and later more as a trend practiced by like-minded and not so like-minded individuals; strategized, wrangled, probed, provocated and survived. This book argues that alternative cinema indeed sows the seed of national cinema in Bangladesh. It portrays the collective dream of the people, explores pristine history of the land, nurtures experiment with local visual sensitivities and asks questions that are relevant to the society, politics and philosophy of this delta. The book is a chronicle of this saga.
read a little
-
অ-In The Quest of Bangla Typography
The interest in typography amongst contemporary youth is the creative impulse that this work has emerged from. Technology has empowered them to an extent never observed before, however, they should not have endured academic barrenness in the field of Bengali typography. This book is not academic by nature. It consists of appreciation and interpretations gathered during several years of my search on the authentic representation of Bengali letterforms. This is my offering to a new generation of professionals who will advance this task with scholarly excellence.
read a little
-
অন ফটোগ্রাফি
সুজান সনটাগ এই গ্রন্থে তার সমকালের ইমেজ সংস্কৃতি, ইমেজ রাজনীতি এবং ইমেজ-মনস্তত্ত্ব কে বুঝতে নানা দিক থেকে এর ওপর আলো ফেলে দেখতে চেয়েছেন। বিশ শতকে, যখন দেখা বিষয়ক প্যারাডাইম পরিবর্তনের কাল মানব জাতির জন্যে, মানুষের দৃষ্টি গ্রাহ্যতা অভিজ্ঞতা এবং বোধের এক পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ক্রমাগত এই দৃষ্টিগ্রাহ্যতা দখল নিচ্ছে ব্যক্তি, সমাজ, বাস্তবতা, কামনা, বিবেক ও ভোগের-তখন অন ফটোগ্রাফি চিন্তাশীল মানুষকে দারুণ ভাবে উজ্জীবিত করতে পেরেছিল। অন ফটোগ্রাফিতে সনটাগ দেখিয়েছেন যে ফটোগ্রাফি নিজেই ইমেজের এমন এক প্রতিবেশ সৃষ্টিকরে যে, পৃথিবীর খণ্ডাংশগুলি তাদের প্রাসঙ্গিকতা এবং ইতিহাস থেকে স্থানচ্যুত হয়ে এক পরাবাস্তব দৃষ্টি গ্রাহ্যতায় পরিণত হয়।
-
আয়না কথা – আবীর আবদুল্লাহ
বাংলাদেশের আইকনিক ফটোসাংবাদিকদের যে লম্বা তালিকা, তার গ্রাফের উপর দিকে আবীর আবদুল্লাহর বাস। কাজের জায়গায় সোজা-সাপ্টা, বাহুল্য বর্জিত, ড্রামাহীন একজন আলোকচিত্রী।
নিজের ফটোগ্রাফি নিয়ে পরিষ্কার তাঁর লজিক এবং ব্যাখ্যা।“আমি এইভাবে দেখেছি.., বিশেষ কিছু দেখতে চাইনি…। যা আছে তাই…।”
তেমন তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ছাড়াই সোজা-সাপ্টা কথার আলোকচিত্রী। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, দৃক, পাঠশালা, ই.পি.এ, ওয়ার্ল্ড প্রেস, আর্ট বনাম ফটোগ্রাফি এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়েই ছাত্র-শিক্ষকের আলাপচারিতা-আয়না কথা।
-
আয়না প্রথম অংশ
গালেয়ানো বলেছেন, “আমার বইগুলো, বিশেষ করে ‘মিররস’ লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে, বিশ্বের কোনো জায়গাই অন্য জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোনো মানুষই অন্য মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, আমাদের বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে, কীভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”
নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এটি বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়। গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও তা কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্পকে মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন; যদি চান, সেখানেই লেখকের সার্থকতা।
-
আলিঙ্গনের বই
‘ভুলে যাওয়া স্বপ্ন’ গল্পে ক্লারিবেল তাঁর বান্ধবীর ভুলে যাওয়া স্বপ্নগুলোকে পুঁটুলি বেঁধে রেখেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাচ্চারা সে-জায়গাটা খুঁজে পেয়ে যাওয়ায়, নাজেহাল ক্লারিবেল বাধ্য হন বান্ধবীকে ফোন করতেন-“তোমার স্বপ্নগুলো নিয়ে করবটা কী বলো তো?” ‘আলিঙ্গনের বই’তে এদুয়ার্দো গালেয়ানো গল্প থেকে গল্পে লাফিয়ে যান পাহাড়ি ঝোরার উপর আলগা পাথরে পা ফেলে ফেলে। পাঠককে বারবার এক স্বপ্ন থেকে ঝাঁকিয়ে তুলে আরেক স্বপ্নের আবর্তে ঠেলে দিয়ে। এই বই পড়া মানে স্বপ্নের পুঁটুলি বানানো শুরু। লেখকের স্বপ্ন, পাঠকের স্বপ্ন, স্বপ্নের সময়, বাস্তবের সময় ঘেঁটেঘুটে এক হয়ে যেতে থাকে। নাজেহাল পাঠক যদি পারতেন গালেয়ানোকে ফোন করতেন-“আপনার স্বপ্নগুলো নিয়ে করবটা কী বলুন তো?” আর গালেয়ানো হয়তো তখন জানাতেন যে, মত অবস্থাটা আসলে খুবই একঘেয়ে, এবং জীবন-মৃত্যু নিয়ে একটা নতুন বই লিখতে তিনি উৎসুক-যেমন জানিয়েছিলেন কোর্তাজার, গালেয়ানোকে, আরেক স্বপ্নের ভিতর, বিচিত্র আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে।
-
এক ব্যাগ শিল্প
‘১ ব্যাগ শিল্প’ মূলত বাংলা ও কিছু ইংরেজি ভাষায় লেখা অভিনব রচনা সংকলন: আদতে ‘১ ব্যাগ শিল্প’ কতিপয় ব্যক্তিগতভাবে লেখা শিল্প-ঐতিহাসিক রচনা, চিঠিপত্র, ফটোচিত্র, নিবন্ধ, খতিয়ান প্রতিস্থাপিত করে একটি মৃদু মেনিফেস্টো হিসেবে প্রকাশিত হতে চেয়েছে, হয়ে উঠতে চেয়েছে বাংলার শিল্পী ও শিল্প অনুরাগীদের তাকে থাকা দোমড়ানো হাত বহি। এই বইতে কথোপকথন ও চিত্রে সংকলিত হয়েছেন কে.জি. সুব্রাহ্মনিয়ান, শাহাবুদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, শহিদ সুরাবর্দী, উৎপল কুমার বসু, বাইস ক্যুরিগার, হারাল্ড জ্যিমান প্রমুখ; আছেন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, তারেক মাসুদ এবং নুরুল আলম আতিক-ও; মধুবালাকে নিয়ে যেমন ফটো এসে আছে তেমনি সুমিতা দেবী’র আত্মস্মৃতিচারণ, বা সুচিত্রা সেনের হারিয়ে যাওয়া ইন্টারভিউ; রিউমার গডেন যিনি ‘দ্য রিভার’ উপন্যাসটির লেখিকা, ও যেই উপন্যাসকে অবলম্বন করে জাঁ রোনোয়া একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তাঁর ভিটা ভাঙার দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে, সত্যজিৎ রায় যেই বাড়িতে তার ‘জলসাঘর’ চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করেছিলেন তা নিয়ে তৈরি করেছি ছবি-গল্প, নভেরার অন্ত্যেস্টিক্রিয়ার ছবি কিংবা ১৯৩১ সালে উদয় শঙ্করের ইউরোপ ভ্রমণের ছবির মতো বিষয়াদিও এখানে আছে; অঞ্জন সেনকে লেখা অমিয়ভূষণের চিঠি, বা অদ্বৈত মল্ল বর্মণের উপর আলোকপাত করে রোম থেকে লেখা আবুল কালাম শামসুদ্দিনের চিঠি, যামিনী রায়ের বিষ্ণু দে’কে লেখা চিঠি ইত্যাদি আলাদা আলাদা ভালো লেখা নয়, বরং একটি তীব্র বয়ানের রূপ-রেখা নিয়ে আপনার সামনে হাজির হবে বলে আশা করছি।
-
একটি নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের খণ্ডচিত্র
নৈরাজ্যবাদী দর্শন বিশ্বব্যাপী পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও একাডেমিক ক্ষেত্রে তা একেবারে অনুপস্থিত বললেই চলে। একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের প্রক্রিয়া ও কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভের জন্য দীর্ঘকাল যাবৎ নৈরাজ্যবাদীরা নৃবিজ্ঞানীদের কাছে পরামর্শ চেয়ে এসেছেন। কিন্তু নৃবিজ্ঞানের ঔপনিবেশিক ইতিহাস এবং নৃবিজ্ঞানকে একটি রাজনৈতিক জ্ঞানকাণ্ডে রূপদানের ব্যাপারে নৃবিজ্ঞানীদের অনীহা বা সংকোচের কারণে তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। গ্রেবার তাঁর এই লেখায় নৈরাজ্যবাদ ও নৃবিজ্ঞানের সম্ভাব্য সম্পর্ককে তুলে ধরার মাধ্যমে যাচাই করার চেষ্টা করেছেন। এই লেখাটি সম্ভাব্যতার জগতে আটকে থাকা ‘নৈরাজ্যবাদী নৃবিজ্ঞানের’ বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ সম্পর্কে আমাদের ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।
-
ক-বাবুর যত কথা
বের্টোল্ট ব্রেখট ক-বাবুর এই সমস্ত ‘কথা’ লিখেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে, গত শতকের বিশ থেকে পাঁচের দশক জুড়ে, বিপ্লব ও বিশ্বযুদ্ধের উত্তাল আবহে।
ক-বাবুর এ সমস্ত ‘কথা’ কখনও দু-এক লাইন, কখনও দু-এক অনুচ্ছেদেই শেষ। এ সবের মধ্যে কাহিনির আভাস থাকলেও বোঝা যায় যে লেখকের মূল লক্ষ্য কাহিনি বা আখ্যানের বর্ণনা নয়, বরং কোন ঘটনা বা আচরণ বা পরিস্থিতির চকিত ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ। সেদিক থেকে এ সবের ধরন প্রাচীন প্যারাবল বা নীতিসূত্রের মতো, কিংবা সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান বা অ্যানেকডোটের মতো।
এর অধিকাংশেই কোন বিশেষ ঘটনা বা আচরণ বা বিষয়ের প্রেক্ষিতে ক-বাবু তাঁর নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। ক্ষুরধার সে বক্তব্য, অতিরিক্ত একটা কথাও সেখানে নেই, এবং প্রায়ই তা প্রচল ধারণার বিপরীত মত ও পথের সন্ধানী। সঙ্গত অনুমান যে, ক-বাবুর বক্তব্য আসলে স্বয়ং লেখকেরই, ক-বাবু আসলে তিনি নিজেই।
রাজনীতি থেকে ঈশ্বর, প্রেম থেকে সত্যের স্বরূপ—সবই তাঁর আলোচ্য। ফলে দেশ-কালের গণ্ডিতে তা আটকে থাকে না। আর সে কারণেই এ সমস্ত কথা আজও সমান প্রাসঙ্গিক। -
কবিতার কারখানা
আজ থেকে প্রায় অর্ধ-শতাব্দী কাল আগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শ্রোতাদের অভিভূত করেছিল আর্হেন্তিনীয় সাহিত্যিক হোর্হে লুইস বোর্হেস-এর অভিভাষণ যা পরবর্তীতে হারিয়ে যায়। সেই হারিয়ে যাওয়া মহামূূল্য অভিভাষণটিই ফিরে এসেছে আমাদের কাছে অডিও টেপ থেকে লিখিত রূপে। এ যেন সাহিত্যের সাথে, ইংরেজি ভাষার সাথে বোর্হেসের সারা জীবনের প্রেমের গল্প। অকপট, সুরেলা, বুদ্ধিদীপ্ত ও রসবোধে পরিপূর্ণ এবং একই সাথে অসাধারণ পান্ডিত্যপূর্ণ এক কণ্ঠস্বরকে আমরা এই বইতে পাই যা বিংশ শতকের সবচাইতে চমকপ্রদ সাহিত্যিক কণ্ঠস্বরগুলোর একটি।
-
কাকে বলে সিনেমা? প্রথম খণ্ড
চলচ্চিত্রের ভাষা কখন একটি পরিণত রূপ লাভ করেছিল? তখন পর্যন্ত চলচ্চিত্র শৈলীর মূল বিতর্কগুলো কী ছিল? নাটক বা উপন্যাসের মতো প্রাচীন অভিব্যক্তিগুলোর সাথে চলচ্চিত্র কোন কানুনগুলোর ভেতর দিয়ে লেনদেন করে? অথবা আরো পিছিয়ে গিয়ে, ছবি কি বিশ্বাসের বাহন না কি বাস্তবের সূচক হয়ে উঠতে চায়? এই সংলাপে প্রাচীন ভাস্কর্য, চিত্রকলা আর আলোকচিত্র কীভাবে নিজের অবস্থানকে সংহত করে-কীভাবে প্লাস্টিক শিল্পের ইতিহাস পাঠ করব আমরা?
এই ভাবনাগুলো মূলগত। এদের স্তর-বিন্যাস বহুমাত্রিক। দর্শন এবং মনস্তত্ত্ব ইমেজ বিশ্লেষণে এখানে প্রভাবী। এই গ্রন্থের লেখক আন্দ্রে বাজাঁ সম্ভবত প্রথম চলচ্চিত্র-তাত্ত্বিক। গত শতকের চল্লিশের দশক নাগাদ চলচ্চিত্রের ভাষা যে পরিণত স্থিতাবস্থা অর্জন করেছিল তার শৈলীভাণ্ডারের মহাগ্রন্থনা করেছিলেন তিনি। ইমেজ ধারণে, সম্পাদনার পছন্দে এবং শব্দ ও নিঃশব্দের ব্যবহারে কীভাবে চলচ্চিত্রিক বর্ণনা সম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল তার বিবরণ তিনি উপস্থাপন করেছিলেন।
কাকে বলে সিনেমা? গ্রন্থে তার প্রস্তাব, তর্ক, সিদ্ধান্ত চলচ্চিত্রতত্ত্বের সূচনা করেছিল আজ থেকে সত্তর বছর আগে। সাত দশকের পরবর্তী যাত্রায় চলচ্চিত্র নানাভাবে পরিবর্তিত হয়েছে; এই গ্রন্থ সকল পরিবর্তনের ভেতরে চিন্তাবীজ হিসেবে চলচ্চিত্রভাষার বিকাশকে পুষ্টি দিয়ে চলেছে। তার শক্তি ইতিহাস-চেতনায়, ভবিষ্যৎমুখী প্রেরণায় এবং চলচ্ছবির প্রতি নিখাদ ভালোবাসায়। -
ক্যামেরা লুসিডা
ক্যামেরা লুসিডা ফোটোগ্রাফি বিষয়ে সম্পূর্ণ নতুন এক চিন্তনের প্রস্তাবনা—হয়তো আলোকচিত্রিক দর্শনের সম্ভাবনা। ভীষণ উস্কানিমূলক, মৌলিকতায় আক্রান্ত, আলোকচিত্রের সকল ন্যারেটিভকে উপেক্ষা করে এ এক নৈরাজ্যকর গ্রন্থনা। গত তিন দশকে এই গ্রন্থ ফোটোগ্রাফি বিষয়ে এক শাস্ত্রীয় মর্যাদা লাভ করেছে। সম্ভবত ক্যামেরা লুসিডা ফোটোগ্রাফিকে মৃত্যু, মরণশীলতা, সময় এবং অস্তিত্ত্ব বিষয়ে এক নতুন অবস্থানে স্থাপিত করে। এই গ্রন্থ পাঠ করে ফোটোগ্রাফি সম্পর্কে কী জানা যায়? এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং লেখা যাক, ফোটোগ্রাফির অস্তিত্ত্ব এবং প্রবহমান সময়ের মধ্যে তার যে অংশগ্রহণ সে বিষয়ে ক্যামেরা লুসিডা আমাদের দৃষ্টি এবং চিন্তার প্রক্ষেপণকে নবায়নের প্রস্তাব করে।
-
গেরিলা গার্লসের পাশ্চাত্য শিল্প ইতিহাস (বিষয়ক) প্রবেশিকা
পথ-প্রদর্শক হিসেবে গেরিলা গার্লসকে সঙ্গে নিয়ে, পাশ্চাত্য শিল্পের দুই হাজার বছর জুড়ে হেসে খেলে বেড়িয়ে আসুন। আবিষ্কার করুন শিল্প ইতিহাসের প্রকৃত ‘কে’, ‘কী’, ‘কখন’, আর ‘কেন’।
-
চলচ্চিত্র: চিন্তাবীজ
এ বইয়ে রয়েছে ‘নোটস অন সিনেমাটোগ্রাফি’-র সম্পূর্ণ অনুবাদ। ‘নোটস অন সিনেমাটোগ্রাফি’ ফরাসি চলচ্চিত্রকার রবের ব্রেঁস-র লেখা একমাত্র বই। দীর্ঘদিন ধরে ছোট-ছোট সূত্রের আকারে, বা আমরা যেমন বলেছি, প্রায় বীজের আকারে চলচ্চিত্র নিয়ে তাঁর ভাবনা এখানে নথিবদ্ধ করেছিলেন ব্রেঁস।
-
চলচ্চিত্রের রূপ-অরূপ
চলমান দৃশ্য-সংবেদ নিয়ে গদ্য। প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতা, বিকল্প প্রকল্প, প্রযুক্তি-আলোচনা সিনেমা বিষয়ে। অথবা প্রান্তিকতা বনাম জাতীয়তা বিষয়ে প্রস্তাবনা চলচ্চিত্র বিষয়েই। তার সাধারণ আর বিশেষ অবভাষ নিয়ে যেমন লেখন তেমনি নির্দিষ্ট সৃজন বিষয়ে সাহিত্য। সংগঠন ভাবনার বিস্তার প্রিয় চলচ্চিত্রসংসদ আন্দোলন নিয়ে। আসলে চলমান দৃশ্যমানতাই তো এখন নিয়ন্তা দিনযাপনের। গদ্যসংগ্রহটি এসময়ের। তার প্রাসঙ্গিকতা সমকালীনতায়; তার পক্ষপাত অভিব্যক্তি রচনায়, চলচ্ছবিতে।
-
চেরির স্বাদ
সম্প্রতি [৪ জুলাই ২০১৬] না ফেরার দেশে চলে গেছেন মহান ইরানি চিত্ররূপকার আব্বাস কিয়ারোস্তামি। অসংখ্য জাতীয়-আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি-সম্মানে সিক্ত এই নির্মাতা-তাঁর নিজেকে নিয়ে; তাঁর ছবি ও কবিতা নিয়ে; তাঁর হয়ে ওঠার সময় ও সমাজকে নিয়ে কথা বলেছেন নানা জনের সাথে নানা সময়ে নানা স্থানে। সে-কথামালা একত্রিত করে, তাঁরই ছবি ও কবিতায় গেঁথে দিয়েছেন গুণী ভাষাকারিগর সন্দীপন ভট্টাচার্য। ‘চেরীর স্বাদ’ গ্রন্থটি এক বর্ণিল, রূপবান কিয়ারোস্তামিকে একেবারে ভিতর থেকে জানার-বোঝার সুযোগ করে দেবে আমাদের।
-
ডিজিটাল ইমেজ রাজনীতি, নন্দনতত্ত্ব ও অন্যান্য
প্রযুক্তি কি প্রভাবিত করে নন্দনতত্ত্বকে? শিল্পের ভাষা এবং তার রাজনীতি কি বিবর্তিত হয় প্রযুক্তির প্রভাবে? ইমেজের ডিজিটাল রূপান্তর কি প্রযুক্তির পালা বদল না কি প্যারাডাইম শিফট? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে এই বইয়ের সূচিপত্র গড়ে উঠেছে; ক্রমে। এই সময়ে আমাদের সম্পর্কগুলো—ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব এবং মহাবিশ্বের পরিধিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ভাষায় বর্ণিত হচ্ছে। তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রকাশ ডিজিটাল ইমেজে। এই ইমেজ মানুষের সৃষ্ট আগের সব ইমেজের চেয়ে ভিন্ন এভাবে যে, সে চূড়ান্তভাবে নমনীয়, পরিবর্তনীয় এবং সে ছাড়িয়ে যেতে পরে তার আদি স্রষ্টাকে এবং হয়ে পড়তে পারে প্রায় স্বয়ম্ভূ। ডিজিটাল ইমেজের প্রযুক্তি, নন্দনতাত্ত্বিক বাস্তবতা ও সম্ভাবনা, তার অ্যানার্কি আমাদের আগ্রহের বিষয়—এই গ্রন্থে।
-
তিনা মোদোত্তি শিল্প . রাজনীতি . জীবন
মৃত্যুর পর প্রায় চার দশক তিনা মোদোত্তি নামটি সর্বতোভাবে চাপা পড়ে থাকে। যা সর্বাংশে রাজনৈতিক, খানিকটা অবহেলারও। আশির দশকের গোড়া থেকে তিনা আবারও শিল্প-সংষ্কৃতি-রাজনীতির আলোচনায় ফিরে আসেন। ছেচল্লিশ বছরের আয়ুষ্কাল পেয়েছিলেন তিনা মোদোত্তি। এই অল্প সময়েই মঞ্চ ও চলচ্চিত্রাভিনেতা, আলোকচিত্রী এবং রাজনীতিক হিসেবে কর্মময় জীবন কাটিয়েছেন। ইতালিতে জন্মগ্রহণ করলেও, মেক্সিকোর শিল্প ও রাজনীতির ইতিহাসে তিনা অবিস্মরণীয়।
এই গ্রন্থটিতে তিনা মোদোত্তির বর্ণময় জীবন ও জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা বা প্রভাবসঞ্চারক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ইত্যাদি কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের উপরই আলোকপাত করা হয়নি সচেতনভাবে। বরং নির্মোহ জায়গা থেকে তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়কে তুলে ধরা হয়েছে, বিস্মৃত একটি জীবনের দিকে ফিরে তাকালে যেভাবে দেখা হয়।