-
দেখার যত উপায়
১৯৭২ সালে জন বার্জার বিবিসি টেলিভিশনে ওয়ে’জ অফ সিয়িং নামে একটি ধারাবাহিক প্রচার করেন; টেলিভিশন প্রযোজনাটির প্রচার হলে তা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাতে দৃশ্যমাধ্যমের প্রতি দর্শকের পুরনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। পেঙ্গুইন প্রকাশনা সংস্থা একে তখন গ্রন্থবদ্ধ রূপে হাজির করে।
সরলভাবে এ হল ‘দেখা’র সন্দর্ভ। অতীতে শিল্পকর্মকে কিভাবে দেখা হত, বর্তমানে পুনরুৎপাদনের যুগে এসে তা কেমন দাঁড়িয়েছে, যান্ত্রিক পুনরুৎপাদন আমাদের দেখার পথকে কিভাবে পাল্টে দিচ্ছে, আরও বিস্তার ঘটাচ্ছে, ইউরোপীয় চিত্রকলায় নারী কিভাবে পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণে উপস্থাপিত, তৈলচিত্রের অংকনের ধারায় কেমন করে বস্তুগত মালিকানার বোধ চরিতার্থ হয় এবং বিজ্ঞাপনী প্রচারণায় ইমেজ ব্যবহারের কৌশলে যেমন করে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিহিত থাকে সেই দেখার দুয়ারগুলোই এই ডিসকোর্সের বিষয়।
বর্তমান ভিস্যুয়াল কালচারের যুগে এর ভূমিকা ব্যাপক ও অনিবার্য। কারণ এ হল দেখার সন্দর্ভ, দৃশ্যগতের বিচার; দৃশ্যগত সংস্কৃতির ক্ষেত্রে যা অনিবার্য প্রসঙ্গ। এই আলোচনা দৃশ্য মাধ্যমে আগ্রহী প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।
এই গ্রন্থের প্রকাশের চল্লিশ বছর পূর্তি বিশ্বজোড়া উদযাপিত হচ্ছে। সেই উপলক্ষে বার্জারের এই গ্রন্থের ভাষান্তর ও ভাষ্য আমাদের নিবেদন। -
সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ ১৯৪৩-১৯৪৮
বইটি চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা পিপল’স ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপল’স এজ-এ ছবি আঁকছেন, প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ ছিলেন পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটি সেই অবিভক্ত ভারতবর্ষের সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে। যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আরাকানের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির প্রধান ঘাঁটি কক্স’স বাজারের পাশাপশি রয়েছে শোষক রেল-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা, মুম্বাইয়ের রেল-শ্রমিকদের লড়াইয়ের খবর।
নোকতা (বাংলাদেশ) ও বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ)-এর যৌথ নিবেদনে প্রকাশিত হচ্ছে এই বই বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পঞ্চাশ বছর পূর্তির ক্ষণটিকে স্মরণ করে। একদা অখণ্ড বাংলার চট্টগ্রামে শিল্পী ও রাজনীতিক হিসেবে চিত্তপ্রসাদের জন্ম হয়েছিল, এখন দ্বিখণ্ডিত বাংলার দুই খণ্ড সেই ক্ষণটিকেও স্মরণ করছে।